বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবী আইয়ুব আলী (৪৬)ওরফে পাইনো আইয়ুবকে চোরাই ওষুধসহ হাতেনাতে ধরেছে জনতা। পরে তাকে হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। রোববার দুপুরে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ৮ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আইয়ুব ঝিকরগাছা থানার অমৃতবাজার মাগুরা গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়ে আইয়ুবকে ছেড়ে দিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আ ন ম বজলুর রশীদ টুলু।
হাসপাতালে রোগী দেখতে আসা শহরের ঢাকা রোড মোল্লাপাড়া এলাকার বাদশা শেখ জানান, অসুস্থ স্বজনকে দেখতে এসে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ৮ নং মেডিসিন ওয়ার্ডে তিনি দেখতে পান অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অভিযুক্ত পাইনো আইয়ুবের পকেটে ওষুধ গুঁজে দিচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি পাইনো আইয়ুবকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মুহূর্তের মধ্যে বেশ কিছু ওষুধ তৃতীয় ব্যক্তির মাধ্যমে সরিয়ে ফেলেন এবং চিৎকার ও তর্ক করেন। এ অবস্থা পাইনো আইয়ুবকে ধরে হাসপাতাল পুলিশ বক্সে নেন বাদশা শেখ। পুলিশ তার পকেট তল্লাশি করে ৬০ পিস ইসোমিপ্রাজল, ৪০ পিস প্যারাসিটামল ও অন্যান্য গ্রুপের কিছু ওষুধ উদ্ধার করে। পরে আইয়ুবকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়ে গেলে তদন্ত করার জন্য তাকে ছেড়ে দেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আ ন ম বজলুর রশীদ টুলু।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং জরুরী বিভাগ থেকে ওষুধ, গজ, তুলা, ব্যান্ডেজসহ বিভিন্ন সামগ্রি চুরি করে বাইরে বিক্রি করছে। এ সিন্ডিকেটের মধ্যে রয়েছে সাগর দাস, জরুরি বিভাগের খাইরুল ইসলাম ওরফে কালো খাইরুল, রাকিব, ৯ নং ওয়ার্ডের লিপি দাস, ৮ নং ওয়ার্ডের আকলিমা, ফারজানা প্রমুখ।
জানতে চাইলে ডা. আ ন ম বজলুর রশীদ টুলু জানান, সুপার স্যার আজ (রোববার) সারাদিন দুদকের গণশুনানিতে ছিলেন। কাল সকালে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

