বাংলার ভোর প্রতিবেদক
‘ময়নার বাপ ভ্যান চালায়ে যে টাকা ইনকাম করে তাই দিয়ে চারজনের সংসার কোনমতে চলে। তার মধ্যি অসুস্থ হলিও কিছু করার থাহে না। দাঁত চাইপে সব সহ্য করে নিই। আয় বুইজে তো ব্যয় করতি হবে নাকি বাপু।
এর মধ্যি শুনতি পালাম এই স্কুলি জারা উন্নয়ন সংস্থা ফ্রি চিকিৎসা দেবে। তাই শুনে মাইয়েডারে নিয়ে চলি আইছি। দীর্ঘদিন যাবত পায়ের পাতায় জ্বালা যন্ত্রণা, মাথা ঘোরাসহ না শারীরিক জটিলতায় ভোগা যশোর মণিরামপুর সীমান্তবর্তী এলাকার খাদিজা খাতুন (৩২) এভাবে অনটনের সংসারের গল্প আর বিনা চিকিৎসায় দিনাতিপাতের বর্ণনা করছিলেন যশোর মণিরামপুর সীমান্তবর্তী এলাকার খাদিজা খাতুন (৩২)।
শুধুমাত্র খাদিজা খাতুন নন, জেলে গোবিন্দ মন্ডল, কৃষক আলতাফ হোসেনসহ অন্তত ৭৫০ হতদরিদ্র রোগী জারা উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসেবা ও ব্লাড গ্রুপিংয়ের সুযোগ পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে যশোর সদর উপজেলার সাড়াপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ মেডিকেল ক্যাম্পে সার্বিক সহযোগিতা করে জিডিএল হসপিটাল অ্যাণ্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাব যশোর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যশোর জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মো. নুরুজ্জামান। যুগ্ম সমন্বয়কারী ড. শহিদুল ইসলাম জাবীর, সাজিদ সরওয়ার, সদস্য রাশেদুল ইসলাম, হসপিটালের ব্যবস্থাপক রেজওয়ান হোসাইন, একাউন্টস অফিসার জাহিদুল ইসলাম, সার্ভিস ইনচার্জ রাকিবুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
জানতে চাইলে জিডিএল হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জাতীয় নাগরিক পার্টি যশোর জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মো. নুরুজ্জামান বাংলার ভোরকে বলেন, আমাদের আজকের প্রতিপাদ্য “মানবিকতার কাতারে জনতা, জনতার কল্যাণে মানবিকতা”। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দ্বোরগোড়ায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়ার উদ্দেশ্য জারা উন্নয়ন সংস্থার এই আয়োজন। আজ গাইনি, মেডিসিন, অর্থপেডিক, শিশু, চোখ, নাক-কান-গলা বিষয়ক চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। অতীতের মতো জিডিএল হসপিটাল ও জারা উন্নয়ন সংস্থা আগামীতেও প্রান্তিক মানুষের পাশে থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

