বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে একমাত্র স্বতন্ত্র করোনারি কেয়ার ইউনিটে উন্নত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সঠিক চিকিৎসাসেবা না পেয়ে মিজানুর রহমান (৭০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় স্বজনরা চিকিৎসককে লাঞ্ছিত ও ইসিজি মেশিন নষ্ট থাকায় তা ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান সদর উপজেলার চাঁচড়া রায়পাড়ার বাসিন্দা।
মৃতের ছেলে ফেরদৌস ও স্বজন জসীম উদ্দীনের অভিযোগ, বাড়িতে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিজানুর রহমানকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তির নির্দেশ দেন। ভর্তির পর রোগীকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে ইন্টার্ন চিকিৎসক রুমের ভেতর থেকেই ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ওয়ার্ডে পাঠান। ওয়ার্ডে রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে কর্তব্যরত সেবিকার খবর পেয়ে সেখানে যান ইন্টার্ন চিকিৎসক। তিনি ওষুধ পরিবর্তন করে চলে যান। এ সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রোগীর স্বজনরা রাতে ডিউটিরত চিকিৎসককে বিষয়টা জানালেও কেউ রোগীর কাছে যাননি বলে অভিযোগ করেন তারা।
ছেলে ফেরদৌস আরও অভিযোগ করেন, হাসপাতালের ইসিজি মেশিনটি নষ্ট ছিল। রোগীর অবস্থার অবনতি হলেও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বজনরা ইসিজি মেশিন ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় হাসপাতালের সিসিইউতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে করোনারি কেয়ার ইউনিটে রাতে দায়িত্বরত চিকিৎসকের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন স্বজনরা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত বলেন, ‘করোনারি কেয়ার ইউনিটে মৃত্যুর ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

