বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে যথাযথ মর্যাদায় বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই দিবস পালন করা হয়। এ উপলক্ষে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য জেলার পাঁচজন নারীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অনিতা মল্লিক।
দিবসে সম্মাননা ক্রেস্ট পাওয়া নারীদের মধ্যে প্রীয়ংকা রাণী সুর, সুলতানা রাজীয়া, শরিফা ইয়াসমিন ও সুষমা বেগম তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, রোকেয়া দিবসের পুরস্কারের জন্য ৫টি ক্যাটাগরি রয়েছে। একটি কমিটির মাধ্যমে এই ৫টি ক্যাটাগরিতে নারীদের নির্বাচন করা হয়। তিনি উপস্থিত সকল নারীকে “অদম্য নারী” হিসেবে আখ্যায়িত করেন। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লব আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাইকে সমানভাবে দেখি। নারী-পুরুষ সমাজে সমান ভূমিকা রাখে।
তিনি উল্লেখ করেন, সমাজে নারী নির্যাতনের পাশাপাশি পুরুষও নির্যাতনের শিকার হয়। নৈতিক জ্ঞানের অভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, আমাদের মা-বোনদের ভূমিকা সমাজে বেশি। নারীরা নারীদের অনেক সময় কর্মক্ষেত্রে দেখতে পারে না। নৈতিক জ্ঞান না থাকার কারণে এই ঘটনা ঘটে।
অনুভূতি ব্যক্ত করার সময় জীবন সংগ্রামী সুষমা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে রেল লাইনের পাশে বসবাস এবং বাড়ি বাড়ি কাপড় বিক্রি করে ও হকারি করে সংসার চালানোর কষ্টের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমি বাড়ি বাড়ি কাপড় বিক্রি করেছি। হকারি করে সংসার চালাইছি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, জাতীয় নাগরিক পার্টি যশোরের প্রধান সমন্বয়ক মো. নুরুজ্জামান এবং সংগঠক আশালতা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলার ভোর পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ আবুল কালাম শামছুদ্দীন জ্যোতি, জেলা প্রতিবন্ধি বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আরফিন, এডাব যশোরের সহ সভাপতি শাহাজাহান নান্নু প্রমুখ।
জেলা পর্যায়ে অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী ক্যাটাগরিতে নারী প্রিয়াংকা রানী সুর, শিক্ষা ও চাকুরির ক্ষেত্রে সুলতানা রাজিয়া, সফল জননী শ্যামলী রানী পাল, জীবন সংগ্রামে জয়ী শরিফা ইয়াসমিন, সমাজ উন্নয়নে সুষমা বেগমকে সম্মানা স্মারক দেয়া হয়।
সদর উপজেলা পর্যায়ে অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন জেসমিন আক্তার, শিক্ষা ও চাকুরিতে সুলতানা রাজিয়া, সফল জননী হাছনা বানু, নির্যাতনের দুঃস্বপ্ন মুছে জীবন সংগ্রামে জয়ী শরিফা ইয়াসমিন, সমাজ উন্নয়নে সুষমা বেগম।

