মণিরামপুর সংবাদদাতা
যশোর-৫ মণিরামপুর আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশের প্রার্থী রশিদ আহমাদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে রোববার দুপুরে মণিরামপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা দাবি জমিয়তের পরিবর্তে বিএনপির পূর্বঘোষিত শহীদ ইকবাল হোসেনের মনোনয়ন পুনর্বহাল করার দাবি জানান। অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ মিনারে অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।
প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসাহক আলী। বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আকতার হোসেন খান, সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসুল। সংবাদ সম্মেলনে ৪০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আকতার হোসেন খান বলেন, সদ্য ঘোষিত প্রার্থী জমিয়তের রশিদ আহমাদ এলাকায় গণবিচ্ছিন্ন। ফলে তিনি কোন অবস্থাতেই বিজয়ী হতে পারবেন না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক সেক্টর কমান্ডার বীরপ্রতিক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপির পরিবর্তে অন্য কোন সংগঠনের প্রার্থীর পক্ষে মুক্তিযোদ্ধারা কাজ করতে পারেনা। বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসুল বলেন, বিএনপির জনপ্রিয় নেতা শহীদ ইকবাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় বুকে আগলে রাখেন।
ফলে শহীদ ইকবাল হোসেনের মনোনয়ন পুনর্বহাল করতে হবে। তাহলেই এ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া সম্ভব। অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ মিনারের সামনে অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন বলেন, জমিয়তের রশিদ আহমাদ প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে নিশ্চিত যুদ্ধাপরাধী দলের প্রার্থী বিজয়ী হবে।
উল্লেখ্য, ৪ ডিসেম্বর যশোর-৫ এ আসনটিতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেনের নাম ঘোষনা করা হয়। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বর এ আসনটি বিএনপির শরীক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশের যুগ্ম মহাসিচব রশিদ আহমাদের নাম ঘোষণা করা হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
সেই থেকে মণিরামপুর উত্তাল হয়ে উঠেছে। উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে।

