মণিরামপুর সংবাদদাতা
যশোরের মণিরামপুরে শিয়ালের আক্রমণে তিন নারীসহ চারজন আহত হয়েছে। আর এ ঘটনা ঘটেছে মণিরামপুরের মাছনা ও বেগমপুর গ্রামে।
তবে অভিযোগ রয়েছে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ প্রতিষেধক (ভ্যাকসিন) দিতে পারেনি। কর্তৃপক্ষের দাবি একমাস যাবত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিষেধকের মজুত শূন্য। ফলে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগীরা বাজারের ফার্মেসি থেকে উচ্চমূল্যে প্রতিষেধক কিনে চিকিৎসা করাচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের মাছনা ও বেগমপুরসহ কয়েকটি গ্রামে হঠাৎ করেই শিয়ালের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। মাছনা গ্রামের কৃষক বুলবুল হোসেন সোমবার ফজর নামাজের জন্য বাড়ির পাশে টিউবয়েলে অজু করছিলেন। এ সময় হঠাৎ দুটি শিয়াল তাকে আক্রমণ করে কামড়িয়ে জখম করে।
দুপুরে বুলবুলের স্ত্রী শাহনাজ পারভীন বাড়ির উঠানে বসে মাছ কোটার সময় একটি শিয়াল তার ওপর আক্রমণ চালিয়ে হাতসহ বিভিন্ন স্থানে কামড়িয়ে রক্তাক্ত করে।
রোববার বিকেলে বেগমপুর গ্রামের আনিচুর রহমানের স্ত্রী রাজিয়া বেগম এবং আব্দুল জলিলের স্ত্রী জাহানারা বেগমের ওপর অনুরূপভাবে শিয়ালে আক্রমণ চালিয়ে কামড়িয়ে যখম করে।
স্থানীয় মতিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তি জানান, ইতিমধ্যে এলাকাবাসী ধাওয়া দিয়ে একটি শিয়াল ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। ভুক্তভোগীরা জানায়, আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
কিন্তু প্রতিষেধক না থাকায় তারা বাজারের ফার্মেসি থেকে ১৩শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা হারে প্রতিষেধক কিনে পুশ করিয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. ফাইয়াজ আহমেদ ফয়সালের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অনুপ কুমার বসু বলেন, গতমাসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিনের মজুত শেষ হয়েছে। নতুন করে সরবরাহের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

