বিবি ডেস্ক
মাথা ব্যথা এমন একটি রোগ, যা চোখে দেখা যায় না, শুধু অনুভব করা যায়। এটি অত্যন্ত কষ্টের একটি অনুভূতি। মাথা ব্যথা বেশির ভাগ সময় নিউরোলজিক্যাল সমস্যার কারণে হয়ে থাকে, তবে চোখের সমস্যার কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে।
মায়োপিয়া বা দৃষ্টিস্বল্পতা, মাইগ্রেন, চোখের ইনফেকশন, বাচ্চাদের স্ট্র্যাবিস্মাস বা বাঁকা চোখ, ড্রাই আই বা চোখে শুষ্কতা এবং চোখের অভ্যন্তরীণ প্রেসার (গ্লকোমা রোগের কারণে) বেড়ে গেলে মাথা ব্যথা হতে পারে।
এ ছাড়া সঠিক পাওয়ারের চশমা ব্যবহার না করা, দীর্ঘক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে তাকিয়ে কাজ করা, পর্যাপ্ত আলো নেই, এমন স্থানে পড়াশোনা বা কাজ করা, ঘুমের অভাবে চোখে ক্লান্তি অনুভব করা এবং প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে রোগে ভোগা ব্যক্তির চশমা ব্যবহার না করার কারণে মাথা ব্যথা করতে পারে।
করণীয়
* দীর্ঘদিন ধরে মাথা ব্যথায় ভুগলে অবশ্যই চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
* স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে টানা কাজ করা যাবে না, ঘন ঘন পলক ফেলতে হবে এবং ২০-২০ রুল অবশ্যই ফলো করতে হবে। ২০-২০ রুল মেনে চলতে হলে টানা ২০ মিনিট কম্পিউটারে কাজ করার পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরে তাকাতে হবে।
এরপর ২০ সেকেন্ডের জন্য চোখের পাতা বন্ধ করে রাখতে হবে।
* মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে মাইগ্রেন ট্রিগারিং ফ্যাক্টর এড়িয়ে চলতে হবে যেমন—শব্দ, প্রচণ্ড আলো, বিশ্রাম ছাড়া একটানা অতিরিক্ত কাজ করা।
* বয়স ৪০ বছর হওয়ার পর চক্ষু চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করাতে হবে।
* পরিবারে গ্লকোমা রোগী থাকলে বাকি সদস্যদের উচিত চক্ষু চিকিৎসকের কাছে গিয়ে গ্লকোমা আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
* পর্যাপ্ত আলোতে পড়াশোনা ও কাজ করতে হবে।
* বাচ্চাদের স্ট্র্যাবিস্মাস বা বাঁকা চোখ অপারেশনের মাধ্যমে ঠিক করা যেতে পারে।
* পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।
* চোখে শুষ্কতা অনুভব হলে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরে মাথা ব্যথার সমস্যায় ভুগলে তা উপেক্ষা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।