Close Menu
banglarbhore.com
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
Facebook X (Twitter) Instagram
শিরোনাম:
  • আজ জীবননগর হানাদার মুক্ত দিবস
  • রোগীর মৃত্যু : ক্ষুব্ধ স্বজনদের হাসপাতাল ভাংচুর
  • চাঞ্চল্যকর সাগর হত্যা মামলার আসামি আটক
  • চোরাই ইজিবাইক কেনাবেচা দ্বন্দ্বে নারী ছুরিকাহত ঘটনায় মামলা
  • যশোরে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী
  • যশোরে অবাধ্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাগাম টানতে কঠোর বিএনপি
  • খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় যশোরে দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনা অব্যাহত
  • চৌগাছার এক রাতে ৬ দোকানে চুরি!
Facebook X (Twitter) Instagram
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
banglarbhore.combanglarbhore.com
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৪
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
banglarbhore.com
দক্ষিণ-পশ্চিম

বাম্পার ফলনে হাসতে পারছেন না চৌগাছা আমন চাষিরা

banglarbhoreBy banglarbhoreডিসেম্বর ২, ২০২৩No Comments
Facebook Twitter Pinterest LinkedIn WhatsApp Reddit Tumblr Email
Share
Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
চলতি আমন মৌসুমে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ধান ঘরে তুলতে শুরু করেছেন চাষিরা। ক্ষেতে হয়েছে বাম্পার ফলন তবুও হাসি নেই তাদের মুখে।
মৌসুম শুরু থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় মটরে পানি তুলে জমি প্রস্তুত ও চাষ শুরু করে কৃষক। পরে তুলনামূলক উচ্চ মূল্যে সার, শ্রমিক, কীটনাশক খরচ করে যখন ধান পাকার সময় আসলো তখনই অধিকাংশ ক্ষেতে বাদামি গাছ ফড়িংয়ের (কারেন্ট পোকা) আক্রমণ করে। এতে অনেক খরচ করে আবারও কীটনাশক ব্যবহার ও অন্যান্য পদ্ধতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসে।
উৎপাদন খরচ ও বাজার দরের বিরাট পার্থক্যের কারণে এবার হতাশাগ্রস্ত কৃষকের মুখে হাসি ফোটেনি। অধিকাংশ চাষি ধান বিক্রির টাকায় সার-বীজ-কীটনাশকের দোকানের দেনাও শোধ করতে পারবেন না। এভাবে লোকশানের কারণে কৃষি কাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকে।
যশোরের চৌগাছা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় আমন ধানের আবাদ হয়েছে ১৮ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৯ হাজার ৮৫০ মেট্রিক টন। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া কিছুটা খারাপ থাকায় উৎপাদন খরচ বাড়লেও ফলনে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে কারেন্ট পোকার আক্রমণ বেশি ছিল। এতে বেড়েছে কীটনাশক ব্যয়। গত ১০ দিন আগে থেকে এ অঞ্চলে ধান কাটা শুরু হয়েছে। এলাকার সম্পূর্ণ কাটা ঝাড়া শেষ করতে আরও অন্তত ১০-১৫দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
সরেজমিনে জানা যায়, যে-সব এলাকার ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ হয়নি সেসব এলাকার চাষিরা ধানের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তবুও উৎপাদন খরচ ও বাজার দরের পার্থক্যের কারণেই হতাশাগ্রস্ত বেশিরভাগ চাষি। তাদের মুখে নতুন ধান ঘরে তোলার আনন্দ আসেনি। তারপরও ধান বাড়ি ওঠানোকে মাথায় রেখেই ‘সার-কীটনাশকের দোকান আর সেচ পাম্প-ট্রাক্টর মালিকরা’ তাদের বকেয়া আদায়ে হালখাতার তোড়জোড় শুরু করেছেন। এই হালখাতা নামটি হতাশাগ্রস্ত কৃষকের কাছে যেন বিষফোঁড়া। অধিকাংশ কৃষকের দাবি, ধানের উৎপাদন ভালো হলেও তাদের খরচের টাকা উঠছে না। এটাই এখন বড় সমস্যা।
উপজেলার সিংহঝুলি গ্রামের যুবক কৃষক শিমুল কবিরাজ, সাইফুদ্দিন আহমদ, কাজল খান, টনি খান, সাইফুলসহ কয়েকজন কৃষক জানান, তাদের জায়গা জমি কম থাকায় তারা অন্যের জমি লিজ নিয়ে ধান চাষ করেন, ফলনও হয়েছে ভালো কিন্তু তারপরও খরচের টাকা উঠছে না।
তারা খরচের হিসেব দিয়ে বলেন, এ বছর এক বিঘা লিজ নিতে জমির মালিককে দিতে হয়েছে সর্বনিম্ন ৮ হাজার টাকা। প্রথমেই এক বিঘা জমির জন্য বীজতলা তৈরি করে চারা উৎপাদন করতে খরচ হয় ২ হাজার টাকা। তারপর জমি চাষ করতে লাগে ১৫শ’ টাকা। জমিতে চারা রোপণ করতে খরচ হয়েছে ২ হাজার টাকা, নিড়ানি বাবদ ব্যয় হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার টাকা, তিনবারে ডিএপি, টিএসপি, এমওপি ও ইউরিয়া সার মিলে কমপক্ষে ২ হাজার টাকার রাসায়নিক সার লাগে। আগাছানাশক, পোকা দমন ও পচন রোগ নিরোধ করতে অন্তত দেড় হাজার টাকার কীটনাশক স্প্রে করতে হয়।
সর্বশেষ এক বিঘা জমির ধান কাটতে, বহন করতে ও মাড়াই করে গোলাজাত করতে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে সময়মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে সেচ বাবদ নলকূপের মালিককে এক হাজার দুইশ’ টাকা দিতে হবে। কোন কোন গ্রামে সেচ বাবদ পাম্প মালিকদের তিন চার হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
তারা বলেন, সবমিলিয়ে আমরা যদি নিজেদের শ্রমের মজুরির টাকা বাদও দিই তারপরও এক বিঘা জমির ধান উৎপাদন করতে কমপক্ষে বিশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তারা আরও বলেন, একবিঘা জমিতে গড়ে বিশ মণ ধানও উৎপাদন হয় না, কম বেশি হয়। তারা জানান, বর্তমান বাজারে এক হাজার পঞ্চাশ থেকে ১১শ’ টাকা ধানের মণ বিক্রি হচ্ছে। তাহলে বাম্পার ফলনে কৃষকের লাভ কী হলো?
উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের কৃষক তুহিন সর্দার বলেন, সরকার ধানের মূল্য নির্ধারণ করেছে এক হাজার দুইশ’ টাকা, সেই হিসেবে একজন কৃষক যদি সর্বোচ্চ বিশ মণ ধান উৎপাদন করতে পারে এবং সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারে, তাহলে তার আসল উঠবে কোন লাভ হবে না। এখন তাহলে সংসার চলবে কী করে? তিনি ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য কমপক্ষে দেড় হাজার টাকা করার দাবি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হুসাইন বলেন, এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। উপজেলার আমন চাষিদের প্রণোদনা বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া কৃষকদের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। উপজেলায় আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রতিনিয়ত কৃষকদের প্রণোদনা বাড়াচ্ছে সরকার।

Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Telegram Email
banglarbhore
  • Website

Related Posts

আজ জীবননগর হানাদার মুক্ত দিবস

ডিসেম্বর ৪, ২০২৫

রোগীর মৃত্যু : ক্ষুব্ধ স্বজনদের হাসপাতাল ভাংচুর

ডিসেম্বর ৩, ২০২৫

চাঞ্চল্যকর সাগর হত্যা মামলার আসামি আটক

ডিসেম্বর ৩, ২০২৫
Leave A Reply Cancel Reply

You must be logged in to post a comment.

সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ আবুল কালাম শামছুদ্দীন

উপদেষ্টা সম্পাদক : হারুন অর রশীদ

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মেজর (অব.) এবিএম আমিনুল ইসলাম

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : ডিডি এনএসআই (অব.) মুফাজ্জেল হোসেন

নির্বাহী সম্পাদক : সৈয়দা নাজমুন নাহার শশী

প্রকাশক কর্তৃক মান্নান প্রিন্টিং প্রেস এর তত্ত্বাবধানে সম্পাদকীয় কার্যালয় ডি-৩০ নতুন উপশহর এবং বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৯ মুজিব সড়ক, যশোর থেকে প্রকাশিত।

মোবাইল: ০১৯০১-৪৬০৫১০-১৯ | ফোন: ০২৪৭৮৮৫১৩৮৬

ই-মেইল: banglarbhorenews@gmail.com

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.