সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ঘর ভাড়া রেখে ২ বছর ধরে হোটেলের রাঁধুনিকে ধর্ষণ এবং ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেট এলাকার নিউ আব্বাস হোটেলের মালিক হজরত আলীর বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনায় সাতক্ষীরা শহরের দক্ষিণ কাটিয়া এলাকার ওই নারী সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হজরত আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পিবিআই সাতক্ষীরাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়ছেন। অভিযুক্ত হজরত আলী (৩৫) সাতক্ষীরা সদরের ফয়জুল্যাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ভিকটিম ওই নারী বলেন, হজরত আলী শহরের নিউমার্কেট এলাকায় মেসার্স নিউ আব্বাস হোটেল অ্যান্ড বিরিয়ানি হাউস নামে নিউমার্কেট মোড়ে তিন বছর আগে ব্যবসা শুরু করলে আমি সেখানে রাঁধুনির কাজ শুরু করি। সারা দিন কাজের সুবাদে হোটেল মালিক হজরত আলীর সাথে কথাবর্তার একপর্যায়ের তার কুদৃষ্টি পড়ে আমার দিকে। তখন তিনি আমাকে অনৈতিক প্রস্তাবও দিলে আমি তাতে রাজি না হওয়ায় আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখান। একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শহরের কামালনগরে বাসা ভাড়া নিয়ে আমাকে সেখানে রাখেন এবং যাতায়াত শুরু করে শারীরিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন। আমি তাকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকলে নানা অজুহাতে তিনি এড়িয়ে যেতে থাকেন। এরই মধ্যে আমার কাছে থাকা ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা স্ট্যাম্পে লিখিত করে এক মাসের জন্য ধার নেন।
একপর্যায়ে ওই বাসায় প্রায় দুই বছর থাকার পর যখন আমি জোরালোভাবে বিয়ে এবং টাকা ফেরতের জন্য চাপ সৃষ্টি করি। তখন তিনি সব সম্পর্ক অস্বীকার করেন এবং টাকা নেয়নি বলে সাফ জানিয়ে আমাকে হোটেল থেকে তাড়িয়ে দেন। একপর্যায়ে আমি অসহায় হয়ে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সাতক্ষীরা শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। সেখানে তিনিসহ তার লোকজন উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও কোনো সুরাহা করেননি।’
ওই ঘটনার পর আমি কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে চলতি বছরের ৩ অক্টোবর সাতক্ষীরার নারি ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হজরত আলীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করি। বর্তমানে পিবিআই সাতক্ষীরা মামলাটি তদন্ত করছেন।
এসব ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম বলেন, হজরত আলীর বিরুদ্ধে ওই নারী সংগঠনে অভিযোগ করলে আমরা হজরত আলীকে সংগঠনের কার্যালয়ে ডেকে উভয়পক্ষকে ডেকে বোঝাপরা করি। সেখানে হজরত আলী ওই নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেন এবং টাকা দিয়ে মিটমাট করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু নির্যাতিত নারী রাজি না হওয়ায় সেখানে মিটমাট হয়নি।
সাতক্ষীরা জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমাদের শ্রমিক সংগঠনের একজন নারী শ্রমিকের সমস্যা নিয়ে কথা বলা বা দেখা শুনা করায় হজরত ও তার লোকজন আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে আমরা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা দ্রুত মানববন্ধন করে লম্পট হজরতের গ্রেপ্তার দাবি করব।’
তবে অভিযুক্ত হজরত আলী উপরোক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
পিবিআই সাতক্ষীরার এসআই ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সোহান হোসেন বলেন, ‘মামলাটির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।’
শিরোনাম:
- আলুর দাম লাগামহীন ভোক্তার নাভিশ্বাস
- শীতে ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রির ধুম
- একটা সংস্কার কমিটি দিয়ে সংবিধান সংস্কার সম্ভব না: মির্জা ফখরুল
- নিখোঁজের ৩ দিন পর কপোতাক্ষ নদে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ
- কৃষ্ণনগরে আরাফাত কোকো স্মৃতি ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন রতনপুর
- পাখির সাথে মানুষের ভালোবাসার গল্প !
- সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা
- যশোর মটর পার্টস ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন সংস্কার ও উন্নয়ন পরিষদের পক্ষে ২৭টি মনোনয়নপত্র ক্রয়