রাজগঞ্জ প্রতিনিধি
মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ, নেংগুড়াহাট এলাকায় স্বল্প খরচ ও কম পরিশ্রমে অধিক লাভজনক ফসল হওয়ায় কলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষাক।
উপজেলার রাজগঞ্জ, নেংগুড়াহাট অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে কৃষক সাগর, সবরী, মালভোগ, দুধ সাগর, কালীবোগ কলার চাষ করছে। কেশবপুর বৃহত্তম কলার পাইকারি হাট বসে। আর ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকের কলার ক্ষেত থেকে। ব্যবসায়ীরা পাইকারি কেনাবেচা জমজমাট হয়ে উঠে। চাষি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে এই হাটে বিক্রির জন্য। কলা আনতে শুরু করেন চাষী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। মাঠ জুড়ে সাজানো সারি সারি কলার গাছে কাদি।
কলা চাষ লাভজনক ফসল কৃষক, হাফিজুর রহমান,মিহির মজুমদার, মোসলেম, বলেন, হাটের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। চাষিরা বলছেন, কলা চাষে আরেক সুবিধা হলো কলা ক্ষেতে ছয় মাস পর্যন্ত সাথী ফসল হিসেবে নানা জাতের সবজি চাষ করা যায়। যা বিক্রি করে সহজেই কলা ক্ষেতে পরিচর্যা করতে পারেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হতেও পারেন।
মণিরামপুর রাজগঞ্জ, নেংগুড়াহাট অঞ্চলে কলার চাষস্থল হিসেবে খ্যাত। এসব কলা চাষ ভাল হয়, উপজেলা চালুয়াহাটি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় কলার চাষ হয়। কলা চাষী মাসুম বিল্লাল বলেন, একবিঘা কলা চাষ করলে খরচ হয় দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা।
মণিরামপুর উপজেলা চালুয়াহাটি ইউনিয়ন কৃষি উপসহকারী ফারহানা ফেরদৌস বলেন, উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের মধ্যে রয়েছে, সাগর কলা,সবরী কলা,বর্তমান কলা, কালীবোগ কলা, দুধসাগর কলাসহ। প্রতি বিঘা কলা চারা রোপণ করা যায়, ৩৫০ থেকে ৪০০শত পিস চারা রোপণ করা হয়, ১৪ মাস পর চাষিরা। ওই কলা ক্ষেত থেকে কলার কাঁদি সংগ্রহ করতে পারবেন, তবে কলা চাষীদের মধ্যে অধিকাংশই গরিব কৃষক। পরিত্যক্ত ও অনাবাদী জমি লিজ নিয়ে তারা কলা চাষ করছেন। চালুয়াহাটি ইউনিয়ন কৃষি উপসহকারী মারুফুল হক ও হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমান মাঠে কৃষকরা কলা চাষ করেছেন ৭০০শত ২০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে।
শিরোনাম:
- যশোর জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান
- যশোরে বেড়েছে খুন-ধর্ষণ, আইনশৃংখলা উদ্বেগজনক
- যশোরে দ্বন্দ্ব সংবেদনশীলতা ও রূপান্তর বিষয়ক কর্মশালা শুরু
- জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ নড়াইলকে দুই গোল যশোরের
- এবার যশোরে ৭০৫টি শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি
- সুন্দরবনের সাগরে নিখোঁজ মাহিদের মরদেহ উদ্ধার
- শ্যামনগর ইউএনও’র বদলি আদেশ প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন
- মানসিক সুস্থতা এবং আসক্তি প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম