বিবি প্রতিবেদক
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যশোর-৩ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা দিন ও রাতের অধিকাংশ সময় ভোটের মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র, জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ অন্যান্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। নিজের জন্য দেশের উন্নয়নের স্বার্থে চাইছেন ভোট। জেলা সদরের এই আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী কামরুজ্জামান। যিনি গত যশোর পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এববার তিনি হতে চাইছেন সংসদ সদস্য। নির্বাচনী ময়দানে তার প্রচারণা বা গণসংযোগ চোখে না পড়লেও শহরের কিছু কিছু স্থানেন তার সোনালী আঁশ প্রতীকেকর পোস্টার চোখে পড়ছে।
এই আসনের ভোটার ও রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা জানান, কামরুজ্জামান গত ২০১৫ সাল থেকে দুই দফায় যশোর পৌরসভা নির্বাচনে পৌর এলাকার তিন নম্বর ওয়ার্ড (ঘোপ) থেকে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বদ্বিতা করে পরাজিত হন। তৃণমূল বিএনপির এই প্রার্থীর শ্বশুর জাহাঙ্গীর মজুমদারও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জাহাঙ্গীর মজুমদার তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় কো-চেয়ারম্যান হওয়ায় জামাই কামরুজ্জামানকে যমোর-৩ আসনে মনোনয়ন দিয়েছেন বলে রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন।
তৃণমূল বিএনপির দলীয় প্রতীক সোনালী আঁশ। এই প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী এলাকার বাহাদুরপুর মধুগ্রাম, চাঁচড়া, শেখহাটি, লেবুতলা ও পৌর এলাকার ঘোপ নোয়াপাড়া ও সেন্ট্রাল রোডে গণসংযোগও করেছেন তিনি। নিজ বাড়ি ঘোপ এলাকায় আছে একটি নির্বাচনী কার্যালয়ও। প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ বিষয়ে প্রার্থী কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রচার- প্রচারণা খুব বেশি হচ্ছে তা নয় তবে নতুন দল হিসেবে যতটুকু সম্ভব প্রচার চালাচ্ছি। সৎ ও ভালো মানুষ হিসেবে শহরের মানুষ আমাকে চেনে। কিন্তু নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ততটা সাড়া মিলছে না। মূলত ভোট দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। নৌকা আর স্বতন্ত্রের পক্ষে। স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকলে হয়তো ভোট জমতো। তিনটি প্রচার মাইকের ইজিবাইক রয়েছে। সারাদিন গ্রামের দিকে প্রচারের পর সন্ধ্যায় শহরে ঢোকে। পোস্টারও বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে।
দলটির যশোর জেলা কমিটিরও আহবায়কও কামরুজ্জামান। তাদের সাথে আছেন হাতে গোনা কয়েক কর্মী সমর্থক। কামরুজ্জামানের সহকারী শেখ ফরিদ উদ্দীন বলেন, ‘আমরা গণসংযোগ করছি। নির্বাচন পরিচালনার জন্যে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, যশোর-৩ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী কামরুজ্জামান ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত কাজী নাবিল আহমেদ, স্বতন্ত্র মোহিত কুমার নাথ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মারুফ হাসান কাজল, জাতীর পার্টির এড. মাহবুব আলম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির অ্যাড. সুমন কুমার রায়, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. তৌহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের শেখ নুরুজ্জামান।
শিরোনাম:
- গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জেকে বসেছে শীত
- পুনশ্চ’র ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
- শীতে বাড়ছে রোগীর চাপ নাজুক চিকিৎসা সেবা
- মাগুরায় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
- যশোরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষায় সভা
- সাজা শেষে দেশে ফিরলেন ২ ভারতীয়
- শালিখার চিকিৎসা নিতে আসা অজ্ঞাত বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার
- বিশ্ব ইজতেমায় হামলার প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ