বিবি প্রতিবেদক
নতুন বছরের প্রথম দিন। কুয়াশার মাঝে উঁকি দিচ্ছে সোনালী সূর্য। সোনালী সূর্যের সোনামাখা রৌদ গাঁয়ে মাখতে মাখতে নতুন বই নিতে ছুঁটে এসেছেন ছোট্ট সোনামনিরা। দল বেঁধে দারুণ উচ্ছাস নিয়ে ছুটে এসে নবীন কিশোর কিশোরী। অভিভাবকরাও সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে। নতুন বছরে নতুন ক্লাসে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে দারুণ উচ্ছ্বসিত যশোরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ১ লা জানুয়ারি বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে তুলে দেয়া হয়েছে নতুন ক্লাসের নতুন বই। বই হাতে পেয়ে খুশিতে মেতে উঠেছে তারা। নতুন ক্যারিকুলামে মুদ্রিত নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পেরে সন্তুষ্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৯ ঘটিকায় যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে বেলুন উড়িয়ে, শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার মাধ্যমে বই উৎসবের সূচনা করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। এ সময় জেলা প্রশাসকের হাত থেকে নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা উল্লাসে মেতে উঠে। পরে তিনি যশোর জিলা স্কুল, যশোর কালেক্টরেট স্কুল ও নব কিশোর শিক্ষালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতেও বই তুলে দেন।
যশোরে এ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫১ পিস বইয়ের চাহিদা ছিল। জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিস চাহিদার শতভাগ বই হাতে পেয়েছে। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩৬ লাখ ৮১ হাজার ২৪০ পিস বইয়ের চাহিদার বিপরীতে অষ্টম-নবম শ্রেণির ইংরেজি বই বাদে সব বই এসে পৌঁছেছে। জেলার প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছরের প্রথম দিনে সেসব বই তুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের হাতে।
যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাব্রিনা শারমিন সোহানা বলেন, ‘বছরের প্রথম দিন বই পেয়ে আমরা খুব খুশি। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেব এবং নতুন নতুন গল্পগুলো বাসায় যেয়ে পড়বো। বছরের প্রথম দিন সবার হাতে বই তুলে দেওয়াতে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’
যশোর জেলা স্কুলের শিক্ষার্থী আফিউজ জাম্মান আল আরাফ বলেন, ‘নতুন বই পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। ষষ্ঠ শ্রেণীর সব বই নতুন পেয়েছি। আমি খুব খুশি।’
নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। লেখাপাড়ায় আগ্রহী হয়েছে যশোরের মুখ আলোকিত করার উৎসাহ দেন।
নিউজের ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার বিনামূল্য প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের বই পৌঁছে দেয়। এ বছরও সারাদেশে ৩০ কোটি বই বিতরণ করা হচ্ছে। যশোরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের প্রায় শতভাগ বই চলে এসেছে। আজ আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পেরে সন্তুষ্ট। তবে অল্প সংখ্যক যে বই আসেনি তা দ্রুতই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হবে।’
বই উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) খালেদা খাতুন রেখা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন প্রমুখ।