বিবি প্রতিবেদক
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহিন চাকলাদার। এলাকাবাসী মনে করেন তিনি এবার নিজ দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জের মুখে।
দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা পরিষদের সদস্যপদ থেকে সদ্য নিজেকে গুটিয়ে নেয়া তরুণ রাজনীতিবিদ আজিজুল ইসলাম (ঈগল) ও ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে কেশবপুরের রাজনীতিতে সক্রিয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এইচ এম আমির হোসেন (কাঁচি)। দুজনই জনপ্রিয়। তাদের প্রভাবে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নৌকার প্রার্থী শাহীন চাকলাদার। আসনটিতে লাঙ্গল প্রতীকের জিএম হাসানের দু-একটা পোস্টার দেখা গেলেও
একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেশবপুরবাসী এ আসনটিতে নিজ এলাকার ছেলেকেই নির্বাচিত করতে চায়। কারণ শাহীন চাকলাদার গত পাঁচ বছর আসনটিতে সংসদ সদস্য থাকলেও কেশবপুরবাসী তাকে কাছে পায়নি। তাই যাকে তারা কাছে পাবেন সব সময় তাকেই তারা ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করতে চান। এ ক্ষেত্রেই তারা প্রথমে ঈগল প্রতীকের আজিজুর রহমানকেই বেছে নেয়ার কথা জানান। কারণ হিসেবে ভোটাররা বলেন, আজিজুর একজন তরুণ নেতা। তিনি এ অঞ্চলের মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তাকে যখন-তখন কাছে পাওয়া যায়। তা ছাড়া তিনি একসময়ের ছাত্রলীগ নেতা ও কেশবপুরের রাজনীতির সূতিকাগার বলে খ্যাত ইসমাত আরা সাদেকের শিষ্য। তাই তারা ভোট দিয়ে তাকে এ আসনের এমপি দেখতে চান।
অন্যদিকে ভোটারের একাংশ জানিয়েছেন, নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন না পেয়ে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন কাঁচি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে ব্যাপক প্রচারে রয়েছেন। অনেকে মনে করেন, প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতাই এবার কেশবপুর থেকে এমপি নির্বাচিত হবেন। তারা বলছেন, যশোরের অন্য আসনগুলোর মতো এ আসনটিতে শক্তিশালী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হবেন নৌকার প্রার্থী। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, যশোর সদর থেকে আসা এই নৌকার প্রার্থীকে এই এলাকার সাধারণ মানুষ চায় না।
এ আসন থেকে এবার আজিজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আব্দুর রফিক, এসএম এবাদত সিদ্দিক বিপুল, সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মেয়ে নওরীন সাদেক, আওয়ামী লীগ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম, তাপস কুমার দাস ও প্রশান্ত বিশ্বাস নৌকা প্রতীকের মনোনয়নের জন্য ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দল থেকে বর্তমানের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয়।
জানতে চাইলে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী খন্দকার আজিজুর রহমান বলেন, আমি বয়সে তরুণ হলেও দীর্ঘদিন ধরে ইসমাত আরা সাদেক পরিবারের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তা ছাড়া আমি জেলা পরিষদের সদস্য ছিলাম ও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তাই এখানকার মানুষ আমার সম্পর্কে ভালো জানেন। ভোট সুষ্ঠু ও অবাধ হলে ঈগল প্রতীক বিপুল ভোটে জয়ী হবে।
অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম আমির হোসেন বলেন, আমি ৫০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আমি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ কেশবপুরের নানা পদে নির্বাচিত হয়েছি। তাই কেশবপুরে যারা আওয়ামী লীগকে ভালোবাসেন তারা আমার কাঁচি প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়ী করবেন। যোগাযোগ করা হলেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমানের সংসদ সদস্য শাহিন চাকলাদার সংবাদমাধ্যমের কাছে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।
শিরোনাম:
- একটা সংস্কার কমিটি দিয়ে সংবিধান সংস্কার সম্ভব না: মির্জা ফখরুল
- নিখোঁজের ৩ দিন পর কপোতাক্ষ নদে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ
- কৃষ্ণনগরে আরাফাত কোকো স্মৃতি ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন রতনপুর
- পাখির সাথে মানুষের ভালোবাসার গল্প !
- সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা
- যশোর মটর পার্টস ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন সংস্কার ও উন্নয়ন পরিষদের পক্ষে ২৭টি মনোনয়নপত্র ক্রয়
- ‘জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না’
- পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প কোচ সংকটে শিগগিরই চালু হচ্ছে না ট্রেন চলাচল