Close Menu
banglarbhore.com
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
Facebook X (Twitter) Instagram
শিরোনাম:
  • নির্বাচন কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুল : সাতক্ষীরায় ধানের শীষের প্রচারণায় প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন
  • সাতক্ষীরায় সড়কে ত্রিমুখি সংঘর্ষ মা ও ছেলে নিহত, আহত-৬
  • ‘আমার ভাবনায় বাংলাদেশ’—জাতীয় রিল-মেকিং প্রতিযোগিতা শুরু
  • কালিগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের উদ্যোগে শীতবস্ত্র প্রদান
  • যথাযথ মর্যাদায় বাগআঁচড়ায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
  • অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ যশোরে আটক আ.লীগের ১৯ নেতাকর্মী
  • যশোরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
  • যশোর-৪ : আচরণবিধি ভঙ্গ করে শোডাউন, বিএনপির প্রার্থীকে শোকজ
Facebook X (Twitter) Instagram
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
banglarbhore.combanglarbhore.com
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
বুধবার, ডিসেম্বর ১৭
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
banglarbhore.com
দক্ষিণ-পশ্চিম

শালিখায় কমেছে খেজুর গাছ : চাহিদা অনুপাতে মিলছে না রস-গুড়-পাটালি

banglarbhoreBy banglarbhoreজানুয়ারি ১৫, ২০২৪Updated:জানুয়ারি ১৫, ২০২৪No Comments
Facebook Twitter WhatsApp
Share
Facebook Twitter LinkedIn

শালিখা প্রতিনিধি
শীত মৌসুম আসলেই খেজুর গাছ কাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন গাছিরা। অগ্রহায়ণ-পৌষ থেকে শুরু হয়ে ফাল্গুন-চৈত্র পর্যন্ত রস সংগ্রহের কাজ চলতে থাকে গাছি পরিবারগুলোতে। এই ক’মাস খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে তা বিক্রি করতে নিরলস সময় পার করেন গাছিরা। সাথে রস দিয়ে তৈরি গুড়-পাটালি বিক্রির ধুম চলে। রসের মৌসুম আসলেই গাছিরা এক মৌসুমে লক্ষ থেকে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। ফলে খেজুর গাছের মাধ্যমে একদিকে যেমন রসের গুড় পাটালির চাহিদা পূরণ হয় অপরদিকে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল হয়ে উঠে। তবে বর্তমানে শালিখার প্রত্যন্ত অঞ্চলে দিনে দিনে বিভিন্ন কারণে কমে যাচ্ছে খেজুর গাছের সংখ্যা। গ্রামীণ সড়কে এখন আর আগের মতো খেজুর গাছের সেই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য চোখে পড়ে না। অন্যদিকে নতুন প্রজন্মের শিশুরাও শীতের সকালের খেজুর গাছের রস, গুড় ও পিঠার স্বাদ বঞ্চিত হচ্ছে।
সময়ের পরিক্রমায় আধুনিক নগরায়ন ও অবাধে বৃক্ষ নিধনের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ জনপদের পাহাড়ের রাণী খ্যাত খেজুর গাছের সংখ্যা ও খেজুরের রস গুড় পাটালি। গাছ না থাকায় কমেছে গাছির সংখ্যাও। কয়েক বছর আগেও হেমন্তের আগমনের সাথে সাথে গাছ কাটার হিড়িক পড়ত শালিখা উপজেলার গ্রামগুলোতে। গ্রামের পথে-ঘাটে, নদী বা পুকুরপাড়ে, বড় রাস্তার দু’পাশে বা ক্ষেতের সীমানা ঘেঁষে হাজারো খেজুর গাছের মাথার নরম আংশ বিশেষভাবে কাটতেন গাছিরা। ১৫-১৬টি পাতা রেখে গাছের উপরিভাগের বাকলসহ অপ্রয়োজনীয় অংশ পরিস্কার করে গাছের অগ্রভাগে নল বসিয়ে মাটির মাটির ভাড় ঝুলিয়ে রস সংগ্রহ করা হতো। আড়াআড়িভাবে বাঁধা বাঁশের খণ্ডে দাঁড়িয়ে কোমরে ও গাছে রশি বেঁধে ধারালো দা দিয়ে গাছিদের গাছ কাটার দৃশ্য ছিল দেখার মতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেই দৃশ্য এখন তেমন চোখে পড়ে না।
বেশ চড়া দামে ইটভাটার মালিকদের কাছে খেজুর গাছ বিক্রি করা, নতুন করে খেজুর গাছ রোপণ না করা এবং গ্রামীণ সড়কের সংস্কার কাজের কারণেও অনেক স্থানে খেজুর গাছ উজাড় হয়ে গেছে। শালিখা উপজেলার শতখালী ইউনিয়নের সিংহেস্বরপাড়ার আব্দুল কুদ্দস বলেন, ৩০ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছি, আগে এক সময় তিন থেকে চারশ গাছ কাটতাম কিন্তু এখন গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রতি মৌসুমে ৫০ থেকে ৬০ টি গাছ কাটছি। আব্দুল কুদ্দুস আরো বলেন, এখনো অধিকাংশ মানুষ সকাল হলে আমার বাড়িতে আসে খেজুর রস নেয়ার জন্য। এক হাড়ি রস বিক্রি করি ৩০০ টাকা এবং এক কেজি পাটালি ও ঝোলগুড় বিক্রি করি ২শ’ থেকে ৫শ টাকা। তারপরও লোকজনের চাহিদা অনুসারে ঠিকমতো দিতে পারিনা। গাছ বেশি হলে প্রতি মৌসুমে লক্ষ থেকে লক্ষাধিক টাকা আয় করা যায় বলে জানান আব্দুল কুদ্দুস। আড়পাড়া ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের তাহাজ্জৎ কাজী বলেন, এক সময় অনেকগুলো গাছ কাটতাম। এখন ২০-৩০ টা মত গাছ কাটি। তা থেকে যে রস হয় তা সকালবেলা লোকজন বাড়ির উপর এসে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে স্বপন, শামসুল, সাধনসহ কয়েকজন গুড় ও পাটালি বিক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, খেজুরের রস পর্যাপ্ত না থাকায় এখন অধিকাংশ জায়গায় চিনি মিশ্রিত গুড়-পাটালি বিক্রি হয়। খেজুর রসের অভাবে গ্রামাঞ্চলের মহিলারা এখন রসের বদলে চিনি ও পানি মিশিয়ে ভিজা পিঠা তৈরি করছে বলে অনেকে বলেন। শ্রী ইন্দ্রনীল এসোসিয়েটসের প্রধান সংগঠক মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক ও গবেষক ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, খেজুর গাছ একটি প্রকৃতিবান্ধব বৃক্ষ। বিভিন্ন গাছ রোপণ করার জন্য সরকার যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তার মধ্যে খেজুর গাছ রোপণের বিষয়টা অন্তর্ভুক্ত করাটা অতীব প্রয়োজন। কারণ খেজুর গাছ একদিকে যেমন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে অপরদিকে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে সেই রস দিয়ে বিভিন্ন মিষ্টি সামগ্রি তৈরি করা যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, উপজেলায় ২৬ হাজার খেজুর গাছ আছে। যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম তাই এই গাছের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করতে সবাইকে খেজুর গাছ বেশি বেশি রোপণ করা প্রয়োজন এবং পাশাপাশি যে গাছগুলো আছে সেগুলো নির্বিচারে না কেটে পরিচর্যা করা প্রয়োজন। তাহলেই খেজুর গাছের মাধ্যমে চাহিদা মাফিক রস, গুড় ও পাটালি পাওয়া সম্ভব হবে।

Follow on Facebook
Share. Facebook Twitter WhatsApp Copy Link

Related Posts

নির্বাচন কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুল : সাতক্ষীরায় ধানের শীষের প্রচারণায় প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

সাতক্ষীরায় সড়কে ত্রিমুখি সংঘর্ষ মা ও ছেলে নিহত, আহত-৬

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

‘আমার ভাবনায় বাংলাদেশ’—জাতীয় রিল-মেকিং প্রতিযোগিতা শুরু

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ আবুল কালাম শামছুদ্দীন

উপদেষ্টা সম্পাদক : হারুন অর রশীদ

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মেজর (অব.) এবিএম আমিনুল ইসলাম

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : ডিডি এনএসআই (অব.) মুফাজ্জেল হোসেন

নির্বাহী সম্পাদক : সৈয়দা নাজমুন নাহার শশী

প্রকাশক কর্তৃক মান্নান প্রিন্টিং প্রেস এর তত্ত্বাবধানে সম্পাদকীয় কার্যালয় ডি-৩০ নতুন উপশহর এবং বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৯ মুজিব সড়ক, যশোর থেকে প্রকাশিত।

মোবাইল: ০১৯০১-৪৬০৫১০-১৯ | ফোন: ০২৪৭৮৮৫১৩৮৬

ই-মেইল: banglarbhorenews@gmail.com

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.