বেনাপোল ও শার্শা সংবাদদাতা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। এ সময় তিনি শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহানুভূতি জানান।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শার্শা উপজেলার বেনাপোল বন্দর নগরীর বড় আঁচড়া গ্রামে আব্দুল্লাহর বাড়িতে পৌঁছান তিনি। তাকে কাছে পেয়ে আব্দুল্লাহর মা মাবিয়া খাতুন ও বাবা আব্দুল জব্বার কান্নায় ভেঙে পড়েন। মাবিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলেকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। যারা গুলি করেছে ও নির্দেশ দিয়েছে দ্রুত তাদের বিচার করতে হবে।’ তবেই আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে।
ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, আব্দুল্লাহর আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান হয়েছে। তার পরিবারের জন্য যা প্রয়োজন সরকার তা করবে।
এই সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দীন আহমেদ, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান, এসি ল্যান্ড নুসরাত ইয়াসিন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, বেনাপোল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভারত, শার্শা উপজেলা ছাত্রদল নেতা সামসুজ্জোহা সেলিম প্রমুখ।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ পুলিশের গুলিতে আহত হন। প্রথমে তাকে মিটফোর্ড পরে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখানে অস্ত্রপচার করে তার মাথা থেকে গুলি বের করা হয়।
১০ আগস্ট তাকে জোরপূর্বক ছাড়পত্র দেয়া হয়। ১১ আগস্ট রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা আবারও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
গত ১২ আগস্ট সকালে তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা মাথার ভেতরে ইনফেকশন দেখতে পেয়ে গত ২২ আগস্ট তাকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি মারা যান।
##