মাগুরা সংবাদদাতা
ধর্ষণের ক্ষত নিয়ে কয়েক দিন ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা গেছে মাগুরার আট বছরের শিশু আছিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যুর খবর জানায় সেনাবাহিনী। শিশুটির মৃত্যুর খবর শুনে বাকরুদ্ধ মা বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। আর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিলাপ করেছেন হাসপাতালের মেঝেতে।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমার মণি যেভাবে মরছে, আমার মণি যেভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে মরছে, আমি তারও (অপরাধীর) ফাঁস দিয়ে বিচার চাই। (তার) এরম মৃত্যু চাই আমি, আমার মণির যেমন বেলেড দিয়ে কাটছে, গলায় ফাঁস দেছে, ঠিক সেরকম বিচার চাই আমি আপনাদের কাছে। ওরে যেন ওইরকম ফাঁসি দিয়ে মারে। ওরকম যেন ওরে বেলেড দিয়ে কাটে। আমার মেয়েটারে যে কষ্ট দিছে না? আমি তারেও এরকম দেখতে চাই।’
সেদিনের ঘটনার প্রসঙ্গে শিশুটির মা বলেন, ‘ওর আপার বাড়িতে যাওয়ার পর, ওর আপাকে ধরে মেরেছিল। তখন আছিয়া বলেছিল, সে বাড়িতে গিয়ে সব বলে দেবে। এরপরই সেই রাতে এরকম ঘটনা ঘটেছে। বড় মাইয়াটারে ইচ্ছামতো মেরে আলাদা ঘরে থুইয়া দিছিল। পরে রাত ১১টার দিকে আমার কাছে ফোন দিয়ে বলসে আমার মণি অসুস্থ। আমি গিয়ে দেখি সদর হাসপাতালে ভর্তি করাইছে। তারে রাইখে পলাইছে ওই মহিলা।’
আছিয়ার খালা কোহিনুর বেগম জানান, সে বাড়ির সবার ছোট। সে ছিল সবার আদরের। তাকে নিয়ে ছিল অনেক স্বপ্ন। সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেলো। প্রতিবেশী সাহানা বলেন, আছিয়া আমার ছেলের সমবয়সী। ও প্রচণ্ড মেধাবী ছিল। সেই সঙ্গে খুবই হাসিখুশি। অপর প্রতিবেশী রোকেয়া খাতুন বলেন, আছিয়া সবার খুব প্রিয় ছিল। এতটুকু একটা শিশু এভাবে চলে যাবে সেটা আমরা ভাবতেও পারি না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আমাদের শিশুও নিরাপদ থাকবে না।
আছিয়ার চাচা ইব্রাহিম শেখ বলেন, আছিয়ার নামাজে জানাজা সন্ধ্যা ৭টায় মাগুরা নোমানী ময়দানে হবে। তারাবি নামাজের পর তার আরেকটি জানাজা গ্রামের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলাধীন জারিয়া গ্রামে হবে।
অপর প্রতিবেশী রোকেয়া খাতুন বলেন, আছিয়া সবার খুব প্রিয় ছিল। এতটুকু একটা শিশু এভাবে চলে যাবে সেটা আমরা ভাবতেও পারি না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আমাদের শিশুও নিরাপদ থাকবে না।