বিবি প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারহানা পারভীন উর্মি হত্যার অভিযোগের তীর মা ও ভাইয়ের দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিম। পুলিশি তদন্তে তার মা ও ভাইকে অভিযুক্ত করা হলেও পরিবার ভিন্নমত পোষষণ করছে। মানসিক ভারসাম্যহীন উর্মি একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন তার মা আইরিন পারভীন। গত ২৫ এপ্রিল রাতে ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন উর্মি।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, উর্মির পিতা আব্দুর রাজ্জাক মাগুরার শালিখা উপজেলার শ্রীহট্ট বাসিন্দা ছিলেন। তার মৃত্যুর পর গ্রামের সম্পত্তি আত্মসাতের লক্ষ্যে তার মা ও ভাই ফায়েজ রাজ্জাক ফারদিন ষড়যন্ত্র করে উর্মিকে শ^াসরোধে হত্যার পরে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায়। এ ঘটনায় উর্মির চাচাতো ভাই রবিউল ইসলাম উর্মির মা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। মৃত উর্মির ময়না তদন্ত রিপোর্টেও তাকে শ^াসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। সে কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই ইবনে খালিদ হোসেন মা ও ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন।
কিন্তুভিন্ন কথা জানিয়েছেন মৃত উর্মির মা আইরিন পারভীন, তাদের বাড়ি মাগুরা জেলায় হলেও উর্মির পিতা একজন সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় যশোর শহরের রেল রোড বাগমারা পাড়ায় ইমরান কবীরের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। আইরিন পারভীনের এক ছেলে ফায়েজ রাজ্জাক ফারদিন ও এক মেয়ে ফারহানা পারভীন উর্মি। ছেলে ফায়েজ রাজ্জাক ফারদিন ঢাকার একটি কলেজে আইন পেশায় লেখাপড়া করেন। মেয়ে ফারহানা পারভীন উর্মি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স লেখাপড়া করতেন। আইরিন পারভীন নিজেও রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স পাস। কিন্তু মেয়ে উর্মি ২০১৫ সাল থেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর বটি নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এছাড়া বিভিন্ন সময় আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ফলে তাকে যশোরের মানসিক ডাক্তার আমিনুর রহমান এবং পরে পাবনার মানসিক হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। এভাবে তার চিকিৎসা চলাকালে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে ঘরে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এই ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে উর্মির চাচাতো ভাই রবিউল ইসলাম নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। কারণ হিসেবে উর্মির পিতা আব্দুর রাজ্জাকের গ্রামের বাড়ি মাগুরার শালিখা উপজেলার শ্রিহট্ট গ্রামের সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে সে। আর তারই অংশ হিসেবে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে উর্মি আত্মহত্যা করলেও সেটাকে ভিন্নখাতে নিতে কোতোয়ালি থানায় একটি মিথ্যা হত্যা মামলা করেছে। আর ওই মিথ্যা মামলায় এখন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
এই ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইবনে খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, তদন্ত শেষে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
শিরোনাম:
- কালীগঞ্জে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠন নিয়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
- খাস কালেকশনের নামে সরকারি অর্থ লোপাট
- কালীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল একজনের
- বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কলম বিরতি : আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক
- ঝিকরগাছায় জেলের নৌকা ও জালে আগুন !
- শিশু আছিয়ার পরিবারকে গোয়ালঘরসহ গাভী-বাছুর দিল জামায়াতে ইসলামী
- এক পরিবারের ৯ রেমিটেন্স যোদ্ধার মধ্যে সড়কে ঝরলো ১ প্রাণ
- প্যাথলজি বিভাগের নগদ টাকা ভাগ বাটোয়ারা