মণিরামপুর সংবাদদাতা
বাংলার অপরূপ প্রকৃতিতে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে যে কয়েকটি লতা, তাদের অন্যতম হচ্ছে স্বর্ণলতা। গ্রাম্য ভাষায় কেউ আলোকলতা বা সোনা লতা নামেও চেনে। বহু গুণে গুণান্বীত এ লতা শ্যামল বাংলার পথে প্রান্তরে আপন রূপের মহিমা ছড়ায় নিজের মত করে।

কিন্তু কালের বিবর্তনে এ গুণী লতার আর দেখা মেলে না সচরাচর। এরই মাঝে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হলুদ গালিচায় মুগ্ধতা ছড়াতে দেখা গেছে স্বর্ণলতা বা আলোকলতার। মনিরামপুর-ঝিকরগাছা আঞ্চলিক সড়কের দেবিদাসপুর এলাকায় ঝুরি ঝুরি হলদে সুতায় রোদ পড়ে সোনা রাঙা আভা ছাড়াচ্ছে এলাকাজুড়ে। পরজীবী এই উদ্ভিদ বেশিরভাগ দেখা যায় কাঁটাজাতীয় বা বরই গাছের কাণ্ডে। এর সবুজাভ উজ্জ্বল রঙ বহুদূর থেকে নজর কেড়ে নেয়। একসময় গ্রামীণ পথের ধারে গাছে গাছে জালের মতো বিস্তার করত আলোকলতা। এখন বাসযোগ্য আবাস না থাকায় এ লতা প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক রফিক হোসেন বলেন, দেবিদাসপুর মাঠে আনার গোলদারের জমিতে বরই গাছে সোনা লতার দেখা মিলেছে। এই লতা নানা গুণ যেমন রয়েছে তেমনি এই লতা কাউকে বেটে খাওয়ালে সে মারা যাবে বলে কবিরাজরা প্রচার করে থাকে।

মনিরামপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্বাস উদ্দীন বলেন, আলোকলতা একটি পরাশ্রায়ী উদ্ভিদ। চোষক অঙ্গ দিয়ে খাদ্য সংগ্রহ করে। গ্রাম্য বাংলায় স্বর্ণলতা বলা হয়। সোনালি রঙের চিকন লতার মতো বলে এরূপ নামকরণ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, জীবন্ত গাছে জন্ম নেয়, পরগাছা হয়ে টিকে থাকে। যে গাছে জন্মায় সে গাছের ডাল ও কাণ্ড থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে। প্রাকৃতিকভাবে বংশবিস্তার করে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version