বাংলার ভোর প্রতিবেদক
নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ আয়োজনের মধ্যে ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, বর্ণিল পথ আল্পনা, কেক কাটা, পিঠা উৎসব, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, বেলুন উড়ানো। সকাল ৯ টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। সকাল সাড়ে দশটায় প্রধান ফটক থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রা শেষে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন শেষে যবিপ্রবি উপাচার্যসহ অন্যান্য অতিথিরা বিভিন্ন বিভাগের পোস্টার প্রেজেন্টেশন, পিঠা উৎসবের স্টল ও পথ আল্পনাসমূহ পরিদর্শন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭টি বিভাগ, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন, বিল্পব-২৪, উদ্যোক্তা স্টলগুলোতে নানা ধরণ, বাহারী আকৃতি ও ঋতু বৈচিত্র অনুযায়ী সুস্বাদু পিঠার পসরা সাজায়।
পরে বেলা ১ টায় যবিপ্রবির মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহীদের রক্ত এখনো শুকিয়ে যায়নি। আমরা একটি সুন্দর দেশ গড়ার লক্ষ্যে একসাথে কাজ করে যাবো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে তাদেরকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমরা দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে এই দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবো।
অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ আরও বলেন যবিপ্রবি প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও দেশ ও বিদেশের মধ্যে আলোকবর্তিকা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সম্মিলিত চেষ্টায় জ্ঞান ও বিজ্ঞানে যবিপ্রবি একদিন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। গবেষণায় নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বকে নতুন অনেক কিছু দিবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এজন্য সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের এক হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মীর মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সম্মানিত রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক নার্গিস বেগম, যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন, যবিপ্রবির ডিনস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাফিরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আহসান হাবীব, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক এ.এইচ.এম শাহারিয়ার।
বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অতিথি শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
উল্লেখ্য, উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গা জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি অনুষদের অধীনে ২৭ টি বিভাগ রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে প্রায় ৪ হাজার ৬২২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকসহ মোট ৩৪৯ জন শিক্ষক, বিভিন্ন গ্রেডের ১৬৩ জন কর্মকর্তা এবং ৩৪৬ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন।
শিরোনাম:
- কোকিলের কুহুতানে জেগে ওঠার দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি
- আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি যশোরে বিএনপির সমাবেশে আসছেন মির্জা ফখরুল
- আওয়ামীপন্থী শিক্ষককে যবিপ্রবির প্রো-ভিসি নিয়োগ চেষ্টার প্রতিবাদ
- সম্মেলন ঘিরে উজ্জীবিত যশোর বিএনপির নেতাকর্মীরা
- বসন্ত আগমনে রঙিন উৎসবে মেতেছিল শহর
- মনোমুগ্ধ পরিবেশনায় নৃত্য বিতানের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
- সেচ্ছাসেবক দল নেতার পদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে আনন্দ মিছিল
- কেশবপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিফলেট বিতরণ