বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শহরতলীর আরবপুর এলাকার ডিশ ব্যবসায়ী আতাউর রহমান হত্যা মামলায় ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে পুনঃচার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। মৃত্যু হওয়ায় একজন ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় অপর একজনের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্ত ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, শহরের শংকরপুরের মুরগি ফার্ম এলাকার কবির চৌধুরী, খড়কির শাহ আব্দুল করিম রোডের বাসিন্দা আনোয়ার পারভেজ, আরবপুর বিশ^াস বাড়ির সাইফুজ্জামান শামীম, আক্তারুজ্জামান রিপন, সাইদুজ্জামান বাবু ওরফে দাতাল বাবু, আরবপুর রেল লাইন এলাকার আমিনুল ইসলাম বাদল, আরবপুর মোড় এলাকার রফিকুল ইসলাম, কামাল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, আলমগীর হোসেন, আরবপুর ঋষিপাড়ার শিমুল দাস, খোলাডাঙ্গা গণিপাড়ার শাহাবুদ্দিন রুহিন এবং চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের কাশিমপুর গ্রামের রিংকু।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৮ এপ্রিল রাতে আরবপুর বিমান বন্দর সড়কে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ডিশ ব্যবসায়ী আতাউর রহমান। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ এপ্রিল সকালে আতাউর রহমান মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের পিতা ফিরোজ হায়দার অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২১ মার্চ হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর হারুন অর রশিদ।
মামলার বাদী ফিরোজ হায়দার এই চার্জশিটের উপর আদালতের নারাজি আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে আদেশ দেন।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, আতাউর রহমানের সাথে আসামিদের দীর্ঘদিন ধরে ডিশ ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এছাড়া নিলামের কেনা মালের মালিকানা নিয়ে আক্তারুজ্জামান রিপনের সাথে আতাউরের গোলযোগ হয়। এসব বিরোধের জের ধরে আসামিরা পরিকল্পনা করে ২০১৫ সালের ১৮ এপ্রিল রাতে আসামি কামরুজ্জামান রিপনের বাড়িতে পিকনিকের আয়োজন করা হয়। আতাউর পিকনিকে যোগদান করলে আসামি আলমগীর অথবা কামাল যে কোন একজন তাকে গুলি করে জখম করে। গুরুতর আহত আতাউর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মারা যায়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। হত্যার সাথে জড়িত থাকলেও মৃত্যু হওয়ায় আমিনুর রহমান বিষে ও ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় ইমলাকের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। চার্জশিটে অভিযুক্ত রিংকু, শাহাবুদ্দিন রুহিন, শিমুল দাস, আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও রফিকুল ইসলামকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
শিরোনাম:
- মহানবী (সা.) কে কটুক্তির প্রতিবাদে কালীগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ
- বাঘারপাড়ায় হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভ সমাবেশ
- ঝিকরগাছায় হামলার শিকার দুই ছাত্রদল নেতা
- দুর্গোৎসবে নিরাপত্তায় কাজ করবে বিএনপি : অমিত
- নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : নিয়মিত বাজার মনিটরিং দাবি বাগআঁচড়াবাসীর
- আশাশুনিতে আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সম্মেলন
- খুলনা বিভাগীয় কারাতে প্রশিক্ষণ সেমিনার
- বিশ্বনবীকে নিয়ে কটুক্তি : শার্শায় বিক্ষোভ