বাংলার ভোর প্রতিবেদক
ধানসহ উৎপাদিত কৃষি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, সার বীজ কীটনাশকের দাম কমানো, খেতমজুরদের কাজের নিশ্চয়তাসহ ৪ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে কৃষক খেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ। সোমবার সকালে যশোর জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের মাধ্যমে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, এ বছর কৃষকরা বোরো মৌসুমে ভালো ফলন পেলেও উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজার মূল্য কম হওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়ছেন এবং চাষাবাদে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে দেশের কৃষি ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে এবং খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। কৃষকের উৎপাদন খরচ বিবেচনা করে ফসলের ন্যায্য দাম নির্ধারণ করা। কৃষকদের বাঁচাতে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা। এছাড়াও উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম কমানো এবং এগুলো বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর মাধ্যমে কৃষকদের কাছে সহজলভ্য করার দাবি জানানো হয়েছে।
স্মারকলিপিতে খেতমজুরদের সারা বছরের কাজের নিশ্চয়তা বিধান, মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমানো এবং পল্লী রেশনিং ও শস্য বীমা চালু করারও জোর দাবি জানানো হয়েছে। কৃষক খেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ সরকারের প্রতি উপরোক্ত বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে।
স্মারকলিপি দেয়ার আগে কালেক্টরেট চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন ক্ষেত মজুর সমিতির নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষক ক্ষেত মজুর সংগ্রাম পরিষদ যশোরের আহবায়ক মিজানুর রহমান, জাতীয় কৃষক সংগ্রাম সমিতি যশোরের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ভিটু, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান নান্নু, সমিতির নেতা মহিববুল্লাহ মহিব, ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ডের নেতা রফি উদ্দীন প্রমুখ।