বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের বাজারে রমজান শুরুর আগে যে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে দেখা গিয়েছিল এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সয়াবিন তেলের সংকট আগের তুলনায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। যদিও বোতলজাত তেলের সরবরাহ এখনও কম রয়েছে। পাশাপাশি লেবু, শসা, বেগুনসহ কিছু পণ্যের দামও কমেছে। যে কারণে ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা যাচ্ছে।
শুক্রবার শহরের বড়বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। তবে, পুরোপুরি সংকট কাটেনি। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ১ ও ২ লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে। এখনও অধিকাংশ দোকানে ৫ লিটারের বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
বড় বাজারের ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন জানান, খোলা সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখন স্বাভাবিক। বোতলজাত তেলও কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে। তবে এখনও চাহিদার তুলনায় কম। আগে পাওয়া যাচ্ছিল না, এখন তেমন সমস্যা নেই।
রমজানের শুরুতে যেসব সবজির দাম বাড়তি ছিল এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেগুলোর দাম এখন কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বেগুনের দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকার পরিবর্তে দাম কমে এখন ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। শসার দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচের দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। করলা ও ঢেঁড়সের দাম এখনও তুলনামূলক বেশি। করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি দেখা গেছে। দেশি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে, আলুর দাম অর্ধেক কমে ২০ থেকে ২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম এক সপ্তাহ আগে ২২০ টাকা কেজি থাকলেও এখন কমে ২০০ টাকার মধ্যে এসেছে। ফার্মের ডিমের দাম প্রথম রোজায় ১৩০ টাকা ডজন ছিল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের ডজনে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।
এবারের রমজানে অন্যান্য বছরের তুলনায় মুদি পণ্যের দাম অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। চিনি, খেজুর, ডালের দাম এখনও সহনীয় পর্যায়ে আছে। তবে চালের বাজার চড়া কিছুটা চড়া রয়েছে।
রাজমিস্ত্রী হাসান বলেন, রমজানের শুরুর দিকে বাজারে যেরকম দাম বাড়ার আশঙ্কা ছিল জিনিসের দাম তেমন বাড়েনি। বেশিরভাগ পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে আছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।
বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হতে থাকায় আগামী দিনগুলোতে আরও দাম কমতে পারে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে চালের দামসহ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছেন সাধারণ ক্রেতারা।