# ফ্যাসিবাদের বিজ উপড়ে ফেলতে হবে : ডিসি
বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভাইস চ্যান্সলর প্রফেসর ড. আব্দুল মজিদ বলেছেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে এখন ফ্যাসিবাদের দোসরদের সরাতে গেলে তদবির আসে। কোনোভাবে তাদের সরানো যাচ্ছে না। ছাত্র জনতার এই আন্দোলন যারা শরিক হয়েছেন, তারা তদবির করবে না। যারা তদবির করবেন তারা ফ্যাসিবাদের অনুসারি। ফ্যাসিস্টদের রাজনীতি করার অধিকার থাকে না।
শনিবার বিকেলে যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন আয়োজিত জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রফেসর ড. আব্দুল মজিদ আরও বলেন, বারবার চেষ্টা করা হচ্ছে দেশে দাঙ্গা লাগানোর। প্রতিবেশি দেশ আমাদের বন্ধু হতে পারে না। দেশ যখন এগিয়ে যায়, তখন তারা দেশকে পিছিয়ে দিতে বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে প্রতিবেশি দেশ। একের পর এক আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্ররা ক্লাস করতে পারছে না।’
স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, ৭১ থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত আমরা স্বাধীনতার কথা বললেও বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। মানুষের কথা বলার স¦াধীনতা ছিল না। জুলাই বিপ্লবের মধ্যদিয়ে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। একটা জায়গায় আমাদের ঐক্য থাকতে হবে, ফ্যাসিবাদ যেন নতুন করে জন্ম না নেয়। ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচারের বিজ উপড়ে ফেলতে হবে।
জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম আরও বলেন, দেশের বিরুদ্ধে অনেক চক্রান্ত চলছে। শুধু একজন ব্যক্তির পালানোর মধ্যে ফ্যাসিবাদ শেষ হয় না। যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন পালাতে পারেননি। মানুষ হিসেবে তারা নিজেদের সংশোধন করলে ঠিক আছে। তা না করে যদি কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন বাস্তবায়ন বা মাথা চাড়া দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের কোনোভাবে ক্ষমার আওতায় আনা যাবে না। আগামীতে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের সব কাজে সবার সহযোগিতা থাকতে হবে।
স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের ৪৯ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকি, পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দীন আহমেদ, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি মেজর সঞ্চয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমিন, জেলার সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আবু জাফর, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার আহবায়ক রাশেদ খান, সদস্য সচিব জেসিনা মুর্শিদ, যুগ্ম সদস্য সচিব জান্নাতুল ফোয়ারা অন্তরা, হাবিব আহমেদ এহসান, সংগঠক মারুফ হাসান সুকর্ণ, যুগ্ম আহবায়ক বিএম আকাশ, মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তা, মুখ্য সংগঠক আল মামুন লিখন, ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৩ শিক্ষার্থীর পিতা আব্দুল জব্বার, নওশাদ আহমেদ ও আব্দুল জব্বার মোল্ল্যা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক রফিকুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফারজানা ইয়াসমিন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সদস্য সোহানুর রহমান সোহান।
জুলাই বিপ্লবে নিহত ও আহত শহীদদের স্মরণ সভা অনুষ্ঠানে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও বিপ্লবের ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের পর আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।