বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক থেকে বন্দর নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেছে বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো। একই সঙ্গে বন্দরে পণ্য খালাসে আধুনিক সুবিধা যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা। সোমবার চাঁদাবাজি বন্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ ১১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি অবগত করে প্রতিরোধ চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্যিক সংগঠন বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি ও যশোর জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি।
চাঁদাবাজি বন্ধে অবহিতকরণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেনাপোল স্থলবন্দর, বেনাপোল কাস্টমস, জেলা প্রশাসক যশোর, পুলিশ সুপার যশোর, বেনাপোল পোর্ট থানা, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন, বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশন ও বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সাজেদুর রহমান জানান, দ্রুত পণ্য খালাসে নতুন, ক্রেন ফর্কক্লিপ যুক্ত করা জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে। বর্তমানে পণ্য খালাসে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ লাগছে। আর শ্রমিকদের বকশিশ সেটা আগে ৫০০ টাকার মধ্যে ছিল এখন তা বেড়ে ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়েছে। যা নিয়ে মাঝে মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে ব্যবসায়ীদের মাঝে।
অভিযোগকারী বেনাপোল ট্রাক ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন গাজী জানান, বন্দর থেকে শ্রমিকরা যে পণ্য খালাস করেন তার মজুরি ব্যবসায়ীরা বন্দরকে বিলের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। কিন্তু বন্দরের শ্রমিকরা হয়রানি ও জোর করে ট্রাকপ্রতি অতিরিক্ত ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা চাঁদাবাজির মাধ্যমে আদায় করে। যার প্রভাব পড়ে আমদানি পণ্যের উপর। বিভিন্ন সময় এ চাঁদাবাজি বন্ধের অনুরোধ জানানো হলেও কাজ হয়নি। অবশেষে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ ১১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি অবগত করে প্রতিরোধ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম বন্দরে পণ্য খালাসে ক্রেন, ফর্কক্লিপের স্বল্পতার কথা শিকার করে জানান, সরবরাহ বাড়াতে কাজ চলছে।
আর শ্রমিক চাঁদাবাজির বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। কোনো ধরনের চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটলে তা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান তিনি। এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি ওহিদুজ্জামান অহিদ জানান, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি ভিত্তিহীন। তার শ্রমিকেরা বন্দরে কোনোভাবে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নেই।