এস এম জালাল
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচনের সম্ভাবনা সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা মণিরামপুরের ১৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে যশোর-৫ আসন গঠিত। এ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলের মনোনয়ন পেতে তৎপরতা শুরু করেছেন। যশোর-৫ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইফতেখার সেলিম অগ্নি।
২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে যশোর-৫ (মণিরামপুর) নির্বাচনী এলাকা থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তিনি নিয়মিত এলাকায় গণসংযোগ, সামাজিক, মানবিক ও ধর্মীয় নানা কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। ভোটারদের কাছে দলের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন। আন্দোলন সংগ্রাম ও সংকটকালে সাধারণ নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখের সাথী হিসেবে পাশে ছিলেন। যশোর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হিসাবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আস্থাও অর্জন করেছেন। দলের প্রতি অগ্নির রয়েছে আস্থা, বিশ্বাস, আনুগত্য ও ভালবাসা। আগামী সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেলে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ইফতেখার সেলিম অগ্নি বলেন, দল পরিচ্ছন্ন এবং তরুণ নেতৃত্বকে উৎসাহিত করছে। ৫ তারিখের পরে মণিরামপুর থানায় বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্তদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানুষ আমি। কোন প্রকার অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে নিজেকে পরিচ্ছন্নতার সাথে পরিচালনা করেছি। সম্পূর্ণ কালিমামুক্ত পরিশ্রমী একজন মানুষ হিসাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাথে ৩৭ বছর পার করেছি।
অগ্নি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ন্যায় ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছি। অনিয়ম দূর করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির আলোকে সমাজ ও মানুষকে পরিচালিত করার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, আমি দলের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারলে মণিরামপুর থেকে লুণ্ঠন, চাঁদাবাজি চিরতরে বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করব। মণিরামপুরের মানুষের শান্তিতে ঘুমাতে পারবে।’
ইফতেখার সেলিম অগ্নি ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮৮ সালে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ও ১৯৯০ সালে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে যশোর জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি ও পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সালে জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং রাজশাহী বিভাগীয় টিমের সদস্য ছিলেন।