সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত অবরোধের ঘোষণার প্রেক্ষিতে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এতে ক্ষতিগ্রস্ত কি আমরা একা হবো, না ভারতও হবে? আমরা যদি দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ বৃহত্তম ব্যবসায়িক কেন্দ্র হই ভারতের জন্য। ভারত কি আমাদের বিনাপয়সায় দেয়, না টাকা নিয়ে দেয়? তাহলে ওটা (বাণিজ্য) যদি তারা বন্ধ করে দেয়, বন্ধ করুক।

তিনি বলেন, গরুতো বন্ধ করেছিল, তো গরু কি এখন আমরা খাই না? বন্ধ যদি উনারা করতে চাই তো উনাদের ব্যাপার। ওরা বন্ধ করলে উনাদের ইকোনমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটার সাথে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ লোক জড়িত ওপারের। লক্ষ লক্ষ লোক এপারেও জড়িত। পলিটিক্স উনারা করছেন, কিন্তু আমি মনে করিনা ব্যবসায়ীরা এটা সাপোর্ট করবেন। এতো বড় একটা বাজার, সেই বাজারটা নষ্ট করবে বলে আমার মনে হয় না। একদিন দুইদিন অবরোধ তো আমরাও করি মাঝে মাঝে।
শনিবার সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে অংশিজনের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতীয় মিডিয়া গুজব ছড়িয়ে তাদের টিআরপি বাড়াচ্ছে মন্তব্য করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের কারণে আমাদের থেকে তাদের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ ভারতের সাথে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে থাকতে চায়, কিন্তু এসব দেখলে তারা ভারতের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যাবে।

জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোই সরকার গঠন করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে স্বাধীনতার ৫২ বছরে সবগুলো রাজনৈতিক দল কোন সময়ে এক টেবিলে বসেনি। তবে এই সংকটকালীন সময়ে সব দল একসাথে বসেছে। এমনকি ধর্মীয় নেতারা বসেছে। আশা করি আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাও সংকটকালীন সময়ে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। এটা একটা বড় অ্যাচিভমেন্ট। এটা একটা উদাহরণ হলো।
এর আগে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ভোমরা বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এছাড়া অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন এবং সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, যশোর বিজিবি সদর দপ্তরের রিজিয়ন কমাণ্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটেলিয়ন বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক, ভোমরা কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ, ভোমরা স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ভোমরা সিএণ্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান, সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা, ভোমরা আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী প্রমুখ।

Share.
Exit mobile version