শ্যামনগর প্রতিনিধি
শ্যামনগরে ড্রেজার মেশিনে ও বোরিং করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি কুচক্রী মহল। আর কোন এক অজানা কারণে উপজেলা প্রশাসন রয়েছে নীরব। এলাকাবাসী মনে করেন উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকে এলাকার পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে।
উপজেলার নদী ভাঙ্গন এলাকাসহ ঘনবসতিপূণ এলাকায় ড্রেজার মেশিন বা বোরিং করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। বর্তমানে রমজাননগর ইউনিয়নের কৈখালী কোস্টগার্ড থেকে টেংরাখালি স্লুইস গেট পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার পাউবোর রাস্তায় মুজিবর কাগুজির ঘের থেকে বোরিং করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একশ্রেণীর বালুখেকো।
এ ছাড়া সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের বাইরের চারিদিকে ১০ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এলাকায় টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখে একটি মহল।
এসব বালুখেকোরা একাধিক ছোট ছোট কার্গো ও ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নিয়ে গোন মুখে ভোরে খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে ড্রেজার মেশিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখে।
এ বিষয়ে রমজাননগর ও কৈখালী ইউনিয়ন সহকারী ভূমিকর্তা আইনুল হক মুঠোফোনে বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ ককরলেও আমি চলে আসার পর আবার ওই চক্রটি বালু উত্তোলন শুরু করে।
আমি বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিবুল আলম মুঠো ফোনে বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি।