বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে দাবদাহ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম এই জেলায় এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। এতে জনজীবন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বুধবার দুপুর ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৪৭ শতাংশ। আবহাওয়া অফিস বলছে, এই অবস্থায় অনুভূত তাপমাত্রা আরও বেশি বলে মনে হচ্ছে। এর ফলে খেটে খাওয়া মানুষ, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর ও কৃষিকাজে নিয়োজিতরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণাধীন আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে, যার মধ্যে যশোর অন্যতম। তবে দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে অব্যাহত তীব্র গরমে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। দুপুরের পর রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে পড়ছে। রোদে বের হলেই মনে হচ্ছে শরীর পুড়ে যাচ্ছে বলে জানান মণিরামপুর থেকে যশোরে ডাক্তার দেখাতে আসা নুরনবি মোড়ল। তিনি বলেন, এই গরমে যেন নিঃশ্বাসও নিতে কষ্ট হয়। ভ্যাপসা গরমে শরীর জ্বলে যাচ্ছে। মুজিব সড়কে এক আম বিক্রেতা জানান, গত কয়েকদিনে যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে, চলাচলে আমরা খুব কষ্ট পাচ্ছি। এখুনি যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়বে।
তাপপ্রবাহের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। যশোরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাকিব বলেন, হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমরা সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছি- প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হওয়ার এবং দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করার। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা, রক্তচাপ কমে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়। এসব বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।