অভয়নগর সংবাদদাতা
যশোর খুলনা মহাসড়কের অভয়নগর অংশে নির্মিত যাত্রী ছাউনিগুলো যাত্রীদের কোনো কাজেই আসছে না। সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি যাত্রী ছাউনি গুলো অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ।
পথচারীদের বিশ্রাম নেয়া কিংবা যানবাহনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের কোনো কাজে না লাগলেও ছাউনিগুলো মাদকসেবী, বখাটেদের আড্ডাস্থল, মোটরসাইকেল, ভ্যান, বাইসাইকেলের পার্কিং স্থল ও আশেপাশের ব্যাবসায়ীদের নিজেদের সার্থে ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, যশোর খুলনা মহাসড়কের যাত্রীদের বাসে উঠার জন্য তৈরি রাজঘাট থেকে প্রেমবাগ স্কুল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি যাত্রী ছাউনি গড়ে তোলা হয়েছে। যাত্রীদের রোদ-বৃষ্টি থেকে রেহাই দিতে নির্মিত ছাউনিগুলো অযত্ন-অবহেলায় মারাত্মক নোংরা অবস্থায় পড়ে আছে। বসার জায়গা ধুলোবালিতে একাকার হয়ে আছে। ছাউনি দেখে বোঝার উপায় নেই যে সেখানে কখনো বসার জন্য ব্যবস্থা ছিল। ছাউনি গুলোতে কোন যাত্রীবাহি বাস বা অন্য কোন বাহন কে সেখানে দাড়াতে দেখা যায়না।
যাত্রীবাহি বাস গুলো মহাসড়কের উপর দাড়িয়ে বিশৃঙ্খল ভাবে যাত্রী উঠানো নামানো করে। ফলে মাঝে মাঝে যানযট সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। ভাঙাগেটে বাসষ্টান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষামান যাত্রী সোহানা বলেন এখানে যাত্রী ছাউনিতে কোন বাস দাড়ায় না, তাই বাধ্য হয়ে সড়কের পাশে দাড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। নওয়াপাড়া পৌরসভার দেওয়া তথ্যে জানা যায় ইউআইআইপি প্রকল্পের আওতায় রাজঘাট ও ভাঙাগেটে নব নির্মিত ২ টি সহ পৌরসভায় আওতাধীন ৬ টি যাত্রীছাউনি রয়েছে।
নওয়াপাড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী অসিম কুমার সোম বলেন, পৌরসভার আওতাধীন যাত্রী ছাউনি গুলো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সড়ক ও জনপদ যশোরের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, যাত্রী ছাউনি গুলো মহাসড়কের পাশে
হওয়াতে নিয়মিত পরিস্কার রাখা কঠিন। তারপর ও ছাউনি গুলো যেন নিয়মিত পরিচ্ছন্ন করা হয় সে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।
