বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে লুটেরাপুজিঁ ও ক্রমবর্ধমান সংকট সমাধান কোন পথে শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার প্রেসক্লাব যশোরে প্রগতি সমাজ গবেষণা কেন্দ্র এ সেমিনারের আয়োজন করে। খুলনা সরকারি সুন্দরবন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ইসরারুল হক বাংলাদেশের অর্থনীতিতে লুটেরাপুজিঁ ও ক্রমবর্ধমান সংকট সমাধানে কোন পথে এ বিষয় প্রবন্ধ উপন্থাপন করেন।
অনিল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, অধ্যক্ষ (অব.)পাভেল চৌধারী, লেখক গবেষক মফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. ইনাম হোসেন প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তরা বলেন, ব্যাংকের টাকা লুটে ব্যাংক মালিক হওয়া, ব্যাংক লুটে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ও রাষ্ট্রীয় প্রাতিষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতা যেমন-অনিয়ম, দুর্নীতির প্রশ্রয় প্রদান, লুষ্ঠনের হোতাদের বিচার না করা, খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধার না করার কারনে দেশের অথনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। আজ সংকটের আবর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বিগত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার মেগা উন্নয়ন প্রকল্প, অর্থনেতিক প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছ আয় বৃদ্ধির বয়ান দিয়ে বাজারি শোষন, সীমাহীন মূল্যস্ফীতি, অর্থনেতিক দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট ও বিদেশে পাচার, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। ফলে অনিয়ন্ত্রিত বাজার ও মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। ফলে চাল, আটা, ভেল, চিনি, ডিম, মাছ-মাংস, এমনকি জীবন রক্ষাকারী ঔষধের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় উচ্চ মূল্যস্ফীতি অর্থনীতিকে বিপর্যন্ত করে তুলেছে। বর্তমানে বাজারি শোষণ থেকে সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে হলে সরকারকে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভেঙে দিয়ে বাজার ব্যবস্থাপনা রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
তারা বলেন, বাংলাদেশে শ্রম খাতে তীব্র শোষণ বিদ্যমান। প্রতিষ্ঠানিক ও অপ্রতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা যে মজুরি পাই তা জীবন ধারণের জন্য যথেষ্ট নয় ফলে শ্রমিকরা দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। শ্রম খাতের এই শোষণ থেকে শ্রমিক শিল্পীকে বাঁচাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করা দাবি জানান।