বেনাপোল থেকে রাজু আহমেদ
শার্শা আওয়ামী লীগের ত্যাগি নেতা আলহাজ্ব নুরুজ্জামানের যোগ্য সহদর মুজিব আদর্শের পরীক্ষিত সৈনিক ও রাজপথের লড়াকু ব্যক্তিত্ব শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান উপজেলার সাধারণ মানুষ।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের সাথে বিভিন্ন চা স্টলে, মুদি দোকানের আলোচনায় সকলের অভিমত উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ্য প্রার্থী যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান। তিনি ছাড়া যারা মনোনায়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা প্রায় সকলেই বিতর্কিত।
শার্শার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মিন্নু এমনিতেই বয়স হয়েছে। তারপর উনি একাধিক দল বদলের খেলায় পারদর্শী।
এদিকে পরিচ্ছন্ন শিক্ষিত মার্জিত বর্তমান আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাভারন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খলিলকে নিয়েও রয়েছে জনগণের সংশয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। কিন্তু কোনদিন তিনি মাঠে ময়দানে গিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াননি। এছাড়া তিনি একটি কলেজের দায়িত্বে থেকে কেন বা কি কারণে নির্বাচনের মাঠে।
শার্শা আওয়ামী লীগের একটি অংশ মনে করেন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যানই ভাল। আবার বড় একটি অংশ মনে করেন বর্তমান চেয়ারম্যানের যথেষ্ট বয়স হয়েছে। তিনি কয়েকবার এই জনপদে নির্বাচিতও হয়েছেন। সেই অনুযায়ী তিনি প্রত্যান্তঞ্চলে কাজ করতে পারেননি। এছাড়া ইতিপূর্বে জামাত বিএনপির নেতারা নির্বাচনের মাঠে না থাকায় তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এবার নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দিতা মুলক। সেই ক্ষেত্রে তার মাঠে টিকে থাকা কঠিন হবে। এদিকে বেনাপোলের বাহাদুরপুর, পুটখালী ও বেনাপোল ইউনিয়ন এর সাধারন মানুষের শতকরা ৯০% ভোট পাবে অহিদুজ্জামান অহিদ বলে মনে করে। এছাড়া একটি পৌরসভা ও বাকি ৮ টি ইউনিয়নের ও ৬০-৭০% ভোট তিনি পাবেন বলে অনেকে মনে করেন। বাকি ভোট অন্যান্য প্রতিনিধিদের মাঝে বন্টন হবে।
শার্শার সচেতন মহল মনে করেন, যারা রাজপথে দীর্ঘদিন মাঠে ছিলেন, আওয়ামীলীগের দুর্দিনে যে সব নেতারা কাজ করেছেন তাদের নির্বাচিত করে জনগনের সেবা করতে দেয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে উপজেলা যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামানের বিকল্প নেই।