ফাইনালে লড়বে কালেক্টরেট স্কুল
বনাম সখিনা গার্লস হাইস্কুল
প্রতিবেদক
কিছুদিন আগেও যারা ইংরেজি দেখলে ভয় পেত; তারাই আবার অনর্গল ইংরেজিতে যুক্তির পর পাল্টা যুক্তি, তারপর প্রতিপক্ষের সেই যুক্তিকে খন্ডন করছেন। যুক্তির আলোকে চলছিল তুমুল লড়াই। ছাড় দেয়নি কেউ কাউকে। প্রতিটি শব্দ ও বাক্যের প্রতিবাদী যুক্তি-পাল্টা যুক্তিতে তর্ক উৎসবে জমে ওঠে। এ চিত্র জেলা প্রশাসন যশোর ও সানাবিল ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আইডিয়া স্পোকেন-দ্যা গেইম মেথডের আয়োজনে বির্তক উৎসবের সেমিফাইনালের। যশোর কালেক্টরেট স্কুল অডিটোরিয়ামে শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই বির্তকের লড়াই দেখে মুগ্ধ হন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
সেমিফাইনালের এই পর্বে অংশ নেয় কালেক্টরেট স্কুল যশোর, সখিনা গার্লস হাই স্কুল, যশোর নবকিশলয় স্কুল ও যশোর আমিনিয়া মাদ্রাসা দারুল আমান দাখিল মাদ্রাসা। জমজমাট সেমিফাইনালে লড়াইয়ের পর ফাইনাল রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয় কালেক্টরেট স্কুল যশোর ও সখিনা গার্লস হাই স্কুল। যা আগামি ২২ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ঘোষণার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া এ ধরণের আন্তঃস্কুল ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতা। বিতর্কে জয়লাভ করে ফাইনাল রাউন্ডে উঠেছে সখিনা গার্লস হাই স্কুল এবং যশোর কালেক্টরেট স্কুল। শ্রেষ্ঠ বক্তার খেতাব পেয়েছে নবকিশলয় স্কুল যশোরের শিক্ষার্থী তাসফিয়া হক ঐশ্বর্য্য, কালেক্টরেট স্কুলের শিক্ষার্থী ফাল্গুনি, সখিনা স্কুলের স্বাগতা।
এর আগে যশোর কালেক্টরেট স্কুলের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হওয়া এই বিতর্ক অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইডিয়া স্পোকেনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক হামিদুল হক শাহীন। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন দৈনিক কল্যাণের প্রকাশক ও সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দ্দৌলা, দৈনিক সমাজের কথার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আমিনুর রহমান মামুন, দৈনিক জনকণ্ঠ ও যমুনা টেলিভিশন যশোরের স্টাফ রিপোর্টার সাজেদ রহমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইডিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি সোমা খান, সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, আইডিয়া স্পোকেনের কোর্ডিনেটর নাবিলা সুলতানা, আইডিয়া স্পোকেন ফ্যাসিলিটেটর শাহরিয়ার খান প্রান্তসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা।
আইডিয়া স্পোকেনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক হামিদুল হক শাহীন জানান, ‘আইডিয়া স্পোকেন টিম ভীষণ সাহস নিয়ে যশোরের স্বনামধন্য দশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে ইংরেজি শেখানোর কার্যক্রম শুরু করেছিলো। কোন কাজ শুরু করা সহজ, কিন্তু বাধাবিপত্তি পেরিয়ে শেষ করাটা অনিশ্চিত। সকল সীমাবদ্ধতাকে পার করে আমাদের সেই প্রকল্প এখন শেষের পথে। এই আয়োজন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হলেও আমার শিক্ষার্থীরা একদিনের জন্যও কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর ক্লাস বাদ দেয়নি; একাধারে চলেছে ব্লেন্ডেড মেথডে প্রতি সপ্তাহের অনলাইন কার্যক্রমে ইংরেজি শিখন। এসবের মধ্যে দিয়ে দশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক হাজার শিক্ষার্থী যারা ইংরেজিকে ভয় পেতো, তারা আজ ইংরেজিতে বিতর্ক করছে, অনার্গল কথা বলছে, বক্তব্য রাখছে। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রথম পিলার ‘স্মার্ট সিটিজেন’ তৈরির জন্য ইংরেজি শেখার গুরুত্বকে উপলব্ধি করেই আমাদের এই যাত্রার সূচনা ছিলো, যা সফল।’