নিজস্ব প্রতিবেদক
বেগম রোকেয়া দিবস আগামীকাল। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর এদিন সারাদেশে দিবসটি পালন করা হয়।
বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বেলা ১১টায় যশোর জেলা প্রসাশন আলোচনা সভা করবে। সভাটি কালেক্টরেট ভবনের অমিত্রাক্ষর সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
নারীদের উন্নয়নে অবদান রাখায় এবার বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন পাঁচ নারী।
উল্লেখ্য, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় মুসলিম সমাজে মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর কোনও প্রচলন ছিল না। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও পরিবারের সবার অগোচরে তার বড় ভাইয়ের কাছে উর্দু, বাংলা, আরবি ও ফারসি পড়তে ও লিখতে শেখেন। তার জীবনে শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠনে তার ভাই ও বড় বোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। পরে বিহারের ভাগলপুরে সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। স্বামীর উৎসাহে ও নিজের আগ্রহে তিনি লেখাপড়ার প্রসার ঘটান। বেগম রোকেয়া ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মারা যান।
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি জানান, যশোরের কেশবপুরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় পাঁচ নারীকে জয়িতা সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। আজ আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবসে পাঁচটি বিভাগে তাঁদের এ সম্মাননা দেয়া হবে।
উপজেলা প্রশাসন ও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ‘জয়িতা অন্বেষণ বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রমে পাঁচ নারীকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা মনোনীত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রুপালী রানী।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রুপালী রানী বলেন, বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী বিভাগে উপজেলার মূলগ্রামের ললিতা মণ্ডল, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী আলতাপোল গ্রামের ড. নাছরিন সুলতানা লাকি, সফল জননী মধ্যকূল গ্রামের শাহানারা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা মূলগ্রামের ময়না রানী মণ্ডল এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় বাগডাঙ্গা গ্রামের সাধনা বিশ্বাসকে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে।