বাংলার ভোর প্রতিবেদক
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শনিবার বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সী মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণের কয়েক ঘন্টা বাকি থাকতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জয়নাল আবেদিন নামের এক সভাপতি প্রার্থী। শুক্রবার বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
এ বিষয় নির্বাচন কমিশনার শাহজাহান সবুজ বলেন, ‘আমি আদালতের নিষেধাজ্ঞা পাইনি। সে কারণে পূর্বঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ভোট গ্রহণের বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জয়নাল আবেদিন বলেন, গত ৩ এপ্রিল থেকে এই ব্যবসায়িক সংগঠনটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনকে ঘিরে একটি মহল নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই নির্বাচনে গঠনতন্ত্র এবং আইন ও নিয়ম কানুন কোন কিছুই মানা হয়নি। একতরফা এবং ষড়যন্ত্রের এই নির্বাচনের সাথে স্বয়ং নির্বাচন কমিশন নিজেই যুক্ত। একতরফা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীতা করার কোন সুযোগ রাখা হয়নি। গঠনতন্ত্র¿ অনুযায়ী সকল সাধারণ সদস্যের নির্বাচনে প্রার্থীতা হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি ও নির্বাচন কমিশন একত্র হয়ে সেটিকে পাশ কাটিয়ে বিভিন্ন ম্যাকানিজম করে বর্তমান কমিটিকে পুনরায় বহাল রাখার প্রচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রথমে নির্বাচনের তফশীল পরিবর্তন করে পুনরায় নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক বরাবর একটি আবেদন করি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন বন্ধ করে পুনরায় তফশীল ঘোষণা করে নির্বাচন দেওয়ার সুপারিশ করে একটি পত্র প্রেরণ করে। সেটি নির্বাচন কমিশন বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে থাকে।
পরবর্তীতে আমরা শ্রম অধিদপ্তরের নির্বাচন বন্ধের কাগজপত্র নিয়ে আদালতের দারস্থ হই। আদালত বিষয়টি বুঝতে পেরে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির কার্যকরী কমিটি ও নির্বাচন কমিশনকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রেরণ করেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেটিও কর্ণপাত না করে নির্বাচন করার দৃঢ় ভূমিকা পালন করেন। এমনকি তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করলেও কোন প্রকার পাত্তা দেননি। পরবর্তীতে আমরা গত ২৮ এপ্রিল আদালতের শরণাপন্ন হই এবং বিষয়টি বিজ্ঞ আদালত বিশেষ বিবেচনায় গত ০২ মে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির নির্বাচনটি স্থগিত আদেশ জারি করেন। এমতাবস্থায় তিনি আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সদস্য আল মামুন, তৌহিদ ইসলাম, রায়হান উদ্দিন প্রমুখ।