স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
“খেলাধুলায় সুস্থ শরীর, স্মার্ট প্রজন্ম আগামীর” প্রতিপাদ্যে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার কলেজ ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি যশোর সদর আসনের সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, যশোরের কৃিত সন্তান মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামানুসারে কলেজটির নামকরণ। এমএম কলেজ জেলার প্রসিদ্ধ একটি কলেজ। আমার বাবা কাজী শাহেদ আহমেদ পঞ্চাশের দশকে এখানকার ছাত্র ছিলেন। অনেক কৃতি শিক্ষার্থী বর্তমানে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সুষম উন্নয়ন চান। এজন্য মেগা প্রকল্পের পাশে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা উন্নয়ন অনেকগুলো প্রকল্প নিয়েছেন। বর্তমানে দেশে ১৩০ ধরনের ভাতা প্রদান করা হয়। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা নেয়ার পর দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের আসল উন্নয়নের রহস্য শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। প্রধানমন্ত্রী শুধু বাংলাদেশেই নয়,বিশে^ও সমাদৃত হয়েছেন। বিএনপি ধর্মের কথা বলেন কিন্তু ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় কোন বিবৃতি বা ঘোষনা দেননি। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশে^ উচ্চ কণ্ঠে, আপোষহীন ভাবে মুসলিম উম্মাহকে সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আহবায়ক ও শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মদন কুমার সাহা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. আবু বক্কর সিদ্দিকী। সভাপতির বক্তব্য রাখেন, কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ইনামুল ইসলাম ইমন ও ওহিদুল ইসলাম রাব্বি।
অনুষ্ঠানে কাজী নাবিল আহমেদকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার ও কলেজ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। এ সময় প্রধান অতিথি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী ও রানারআপদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ছাত্র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আজিমুল ইসলাম সুমন ও রানার্সআপ হয়েছেন মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াকার ইউনুস। অপরদিকে ছাত্রী বিভাগে সেরা যশোর ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ কলেজের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তানিয়া খাতুন। ব্যাবস্থপনা বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাহিয়া খাতুন রানার্সআপ হয়েছেন। যশোর ক্রীড়াঙ্গনে নারী ফুটবল রেফারি হিসেবে পরিচিত তানিয়া ১০০ ও ২০০ মিটার দৌঁড় এবং উচ্চ লাফে অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন। এর আগে কাজী নাবিল আহমেদ কলেজের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কর্নারের উদ্বোধন করেন এবং তা ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, ৩ মার্চ কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তিনব্যাপি প্রতিযোগিতা শেষ হয় ৫মার্চ। প্রতিযোগিতায় ২২টি ইভেন্টে পাঁচশ’র অধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।