স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
যশোরের বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে কাঁচা সবজি। প্রতিনিয়ত সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। যে কারণে বাজারে সবজির আমদানি কমার সাথে সাথে কমেছে ক্রেতা সমাগমও। বাড়তি দামে সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতা সাধারণদের। কোনো ভাবেই কাঁচা সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
শুক্রবার বিকেলে শহরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার উপস্থিতি কম। বাড়তি দামের কারণে তুলনামূলক কম সবজি কিনছেন অনেকেই। এদিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কচুরমুখি ৫০ টাকা, আমড়া ৪০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, কলা ৬০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, উঁচ্ছে ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঝাল ২৮০ টাকা, পেঁয়াজ ১১০ টাকা, রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, শুকনো মরিচ ৪৫০ তেকে ৫০০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, বেগুন ১২০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা, জাত ভেদে মুরগির মাংস ১৮০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বড় বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা সুকুমার সেন বলেন, এখন কাঁচামালের আমদানি কম। যে কারণে বাজারে সবজির দাম বেশি। বর্ষার পানিতে কাঁচা সবজি পচে ক্ষেতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সামনের দিনে আরও কাঁচা সবজির দাম বাড়বে।
জাহাক্সগীর হোসেন নামে এক বিক্রেতা বলেন, আমরা মোকামে সবজি কম পাচ্ছি। বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজি কম। দাম একটু বেশি থাকার কারণে বেঁচাবিক্রি কম হচ্ছে। গতদিন একটু বেশি বিক্রি হয়েছিলো। আজ বাজার করতে কম লোক আসছে।
আছিয়া বেগম নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। এক পিস পেঁপে কিনতে হলো ৪৪ টাকা দিয়ে। ঝাল পেঁয়াজের কথা তো পড়ে আছে। এভাবে চলতে পারে না। আমাদের মত সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা বড় বাবুরা বুঝবে না।
রাজগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, রাজগঞ্জ অঞ্চলের বিভিন্ন হাটবাজারে হঠাৎ করে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। কেজিপ্রতি ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে মরিচ। তিন দিন আগেও কাঁচা মরিচ ১৬০-১৭০ টাকা বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে হঠাত করে কাঁচাঝাঁল কৃষকরা পাইকারি বিক্রি করছে,২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। তা খুচরা বাজারের বিক্রায় হচ্ছে,সেই কাঁচাঝাল ২৭০থেকে ২৮০টাকা।
নেংগুড়াহাট পাইকারি বাজারে কাঁচাঝাল বিক্রি করতে আসা কৃষক শওকত হোসেন চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় প্রায় প্রতিদিনই মরিচসহ বিভিন্ন সবজির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। মরিচের পাশাপাশি দাম বেড়েছে করলা, পটোল, বেগুন, আমড়া, মিষ্টি কুমড়া, কাঁকরোল, কচুরলতিসহ, বিভিন্ন সবজির।
নেংগুড়াহাট বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ইউনুছ আলম, শাহাদাত হোসেন বলেন, আগে প্রতি দিন বাজারে যেখানে ১০-১৫ মণ মরিচের আমদানি হতো। এখন সে খানে ৫-৭মণ মরিচের আমদানি হচ্ছে। নেংগুড়াহাট বাজার কমিটির সভাপতি মফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আ. হক বলেন, বর্ষার কারণে গাছ নষ্ট হয়েছে অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
কিন্তু এমন পরিস্থিতি তো এখনো তৈরি হয়নি যে বাজারে তরিতরকারি ও কাঁচাঝাঁল পাওয়া যাচ্ছে না। চাহিদা হিসেবে সরবরাহ ঠিক আছে, তারপরেও ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য সবজির দামও বাড়তি।