মণিরামপুর সংবাদদাতা
যশোরের মণিরামপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা থানা ঘেরাও করে অভিযোগ করেছেন, বিগত সরকারের আমলে থানায় ধরে এনে শত শত বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জেল-হাজতে পাঠানো হতো। দিনের পর দিন মিথ্যা মামলায় হাজতবাস করতে হয়েছে। অথচ আজ সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগে আসামি ধরে এনে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
যশোরের মণিরামপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা থানা ঘেরাও করে অভিযোগ করেছেন, বিগত সরকারের আমলে থানায় ধরে এনে শত শত বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জেল-হাজতে পাঠানো হতো। দিনের পর দিন মিথ্যা মামলায় হাজতবাস করতে হয়েছে। অথচ আজ সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগে আসামি ধরে এনে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
রোববার সন্ধ্যায় থানা ঘেরাও করে থানা ফটকের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে থানার ওসির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তারা থানা থেকে আসামি ছেড়ে দেয়া বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
মণিরামপুর থানার গেটে অবস্থান নিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টুসহ অন্যরা অভিযোগ করে বলেন, গত দুই দিনের ব্যবধানে ৭জনকে থানায় ধরে আনা হয়। কিন্তু রাতের অন্ধকারে রহস্যজনক কারণে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। থানা ঘেরাওকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দীক, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোতাহরুল ইসলাম রিয়াদ, সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক বিল্লাল গাজী, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ইউনুস আলী জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক কামরুজ্জামান, সদস্য সচিব মাসুদ গাজী প্রমুখ।
বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা চত্ত্বর হতে গাঁজাসহ দুইজনকে আটক করে মণিরামপুর থানা পুলিশ। পরদিন রোববার সকালে তাদেরতে ছেড়ে দেয়া হয়। এছাড়াও আরও ৪জনকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক করে ছেড়ে দেয়া হয় বলে বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ।
বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ ও থানা ফটকে বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ গাজীকে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।