মনিরুজ্জামান মনির
ঈদ কেনাকাটায় জমজমাট যশোরের জুতার বাজার। জুতার দোকানগুলোতে এসেছে নতুন নতুন ডিজাইন। ঈদকে সামনে রেখে বিক্রিও বেড়েছে দুই থেকে তিনগুণ। বিক্রেতারা এমনটা জানালেও ক্রেতারা বলছেন, পছন্দসই জুতা কিনতে ঘুরতে হচ্ছে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে। আর কেনার ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাচ্ছে পছন্দের জুতাটি আরামদায়ক কিনা সেটি। দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অফারের ছড়াছড়ি না থাকলেও শোরুমগুলোতে এরই মধ্যে বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। ঈদ সামনে রেখে শহরের বিভিন্ন বিপণিবিতানে বেড়েছে জুতা-স্যান্ডেলের বিক্রি। ছোট-বড় সবাই আসছেন সাধ্যের মধ্যে পছন্দমতো জুতা-স্যান্ডেল কিনতে। কারও কাছে মান ও দাম ঠিক থাকলেও কারও কাছে গতবছরের তুলনায় কিছুটা বেশি।
যশোরের এইচ এম এম রোডের কয়েকটি জুতার দোকান ঘুরে ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুতার দোকানগুলোতে ভালো ডিজাইনের কথা বললেও দাম অনেক বেশি বলে জানান তারা। যশোরের কয়েকটি শপিংমলের বিভিন্ন শোরুমের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোজার শেষ সময়ে এসে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। ক্রেতাসমাগমও সন্তোষজনক। প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের বাইরে যশোরের বিভিন্ন বাজারে ছোট-বড় দোকানেও বেড়েছে ক্রেতার চাপ। যেখানে বেশির ভাগই মধ্যবিত্ত। দাম আর মান দেখে যারা কিনছেন আরামদায়ক জুতা-স্যান্ডেল।
এ ছাড়া যশোর এইচ এম এম রোডে বাটা মার্কেট, লিবার্টি মার্কেট, জনতা সুপার মার্কেট, চন্দনা সুসহ আশেপাশের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের ভিড়। মার্কেটে নারী এবং শিশুদের জুতার দোকানে ভিড় বেশি।
লিবার্টি সুজ মার্কেটে জুতা ৫২০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা, সু ১৩শত ২০টাকা থেকে ৪৫ শত টাকা এবং নারী-শিশুদের জুতা ৩৭০ টাকা থেকে ১২ শত ৫০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য দোকানগুলোতে নারী-শিশুদের জুতা ১৫০ টাকা থেকে ৫শ’ এবং পুরুষ ৩শ’ থকে ৭শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রাণ্ডের শপগুলোতে জুতার দাম অনেক।
বেনাপোলের জুলফিক্কর আলী জানান, আমরা পরিবারসহ আজ যশোরের মার্কেটে আসছি। অনেক কিছু কেনাকাটা করছি। এখন জুতা কিনবো। দাম বেশি মনে হচ্ছে।
যশোর এইচ এম এম রোডে লিবার্টি মার্কেটের ম্যানেজার রেজাউল করিম জানান, ঈদে নতুন জুতা কেনার চাহিদা সবসময়ই বেশি থাকে। মোটামুটি ক্রেতাদের ভালোই সাড়া পাচ্ছি। দুপুরের পর থেকে ভিড় শুরু হচ্ছে। তবে এ বছর নারী-শিশুদের জুতার চাহিদা বেশি।