নিজস্ব প্রতিবেদক, কালীগঞ্জ

গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে মাটির কাঁচা সড়ক। যে সড়কটিতে বর্ষার প্রথম থেকেই হাঁটু কাঁদার সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলগামী ছেলেমেয়েরা এ সড়ক বেয়ে চলার সময় প্রায়ই আচড়ে পড়ে কাঁদা মাটি মেখে বাড়ি ফিরছে। কৃষি প্রধান গ্রামটির এ সড়ক দিয়ে মালামাল বহন করাসহ গ্রামের হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের জরুরি চিকিৎসা সেবায় বিপদের সীমা থাকছে না।

সড়কটি নিয়ে গ্রামবাসী এমন ভোগান্তিতে পড়ে পাকাকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেক আগে থেকেই ধর্না দিয়েছেন। কিন্ত কাজের কাজ হয়নি। এমন অবস্থা বিরাজ করছে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের কোলা ইউনিয়নের কামালহাট গ্রামের মধ্যকার মাত্র এক কিলোমিটারের কাঁচা সড়কটির। যে সড়কটি দিয়ে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকে। কিন্ত বর্তমান লোক চলাচলের উপযোগী না থাকায় গ্রামবাসীকে কমপক্ষে তিন কিলোমিটার ঘুরে কোলাবাজার- মল্লিকপুর পাকাসড়কে উঠতে হচ্ছে।

গ্রামবাসীরা জানান, কোলাবাজার-মল্লিকপুর পাকা সড়ক হতে তাদের গ্রামের মধ্যে একটি কাঁচা সড়ক চলে গেছে। যে সড়কটি দিয়ে তাদের গ্রামের লোকজন ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকে। কিন্ত বর্ষা মৌসুম আসলে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু কাঁদার সৃষ্টি হয়। আর শীতের সময় তৈরি হয় ধুলা। ফলে সড়কটি এলাকাবাসীর কাছে সারাবছরের জন্য ভোগান্তি।

কামালহাট গ্রামের ভূপালেশ বিশ্বাস জানান, তাদের গ্রাম সাধারণত কৃষি প্রধান। কাঁদাযুক্ত এ সড়ক দিয়ে ফসল ঘরে তুলতে বেশ বেগ পেতে হয়। আবার কৃষিতে উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণেও মাথায় বহন করে কাঁদা সড়ক পার করতে হয়। যা যে কোন মানুষের জন্যই একটি কঠিন কাজ। তিনি আরও বলেন পাশেই রয়েছে কামালহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ সড়ক বেয়েই তাদের গ্রামের ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে হয়। কাঁদার কারণে এখন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে অনিহা প্রকাশ করে। ফলে সড়কটি পাকাকরণ খুবই জরুরি।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দিলীপ কুমার বিশ্বাস জানান, গ্রামের মাঝখান দিয়েই চলে গেছে এ সড়কটি। এ কারণে সড়কে লোকজনের যাতায়াত অনেক বেশি। ফলে সড়কটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। কিন্ত বর্ষা আসলেই সড়কটিতে হাঁটু কাঁদা জমে গনভোগান্তির সৃষ্টি করে। তিনি রসিকতা করে বলেন, তার ঘরের পাশেরই সড়ক। অথচ নিজে মেম্বর হয়ে এখনও গ্রামের জনভোগান্তি দূর করতে পারেননি। পাকাকরণের জন্য তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ জানান, তার ইউনিয়নের মধ্যে কামালহাট একটি কৃষিতে স্বচ্ছল গ্রাম। এ গ্রামের মধ্য দিয়ে যে কাঁচা সড়কটি বয়ে গেছে বর্ষার মৌসুমে লোক চলাচলযোগ্য থাকেনা। সড়ক দিয়ে কোন মালামাল বহন করতে গেলে গ্রামবাসীর কষ্টের সীমা থাকে না। ওই গ্রামের মানুষও সড়কটির ব্যাপারে একাধিকবার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, মানুষের ভোগান্তি দূর করতে তিনি ইতোমধ্যে সড়কটি তালিকাভুক্ত করেছেন। আশা করছেন খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version