কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা
এনটিআরসিএ জাল সনদে শিক্ষকতার ১৪ বছর পর ধরা পড়লেন কোটচাঁদপুরে সাফদারপুর মুনছুর আলী একাডেমির সহকারী শিক্ষক আবুল খায়ের। তারপরও রয়েছেন বহাল। এদিকে জাল সনদে চাকরি করায় হতে পারে জেল জরিমানাসহ অনেক কিছু বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম।
কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর মুনছুর আলী একাডেমির প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দিন বলেন, গত ২০১০ সালের দিকে আবুল খায়ের সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) হিসেবে বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর গত ২৩ অক্টোবর ওই শিক্ষকের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল মর্মে সংবাদপত্রে সংবাদ প্রচারের পর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম আবুল খায়েরের কাগজ পত্র চেয়ে পাঠান। আমি তার সব কাগজপত্র জমা দিয়ে এসেছি। এরপর কি হয়েছে আমার জানা নেই।
ওই শিক্ষক এখনো বিদ্যালয়ে আছে কিনা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, যেহেতু তার সনদ জাল ওই সংক্রান্ত কোন কাগজ পত্র আমার কাছে আসেনি। তাই উনি বিদ্যালয়েই আছেন। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল খায়েরের সঙ্গে কথা বলতে মোবাইলে কল করা হয়েছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষকের কাগজপত্র দেখে শিক্ষা নিবন্ধন সনদটি জাল বলে আমার সন্দেহ হয়। পরে ওই কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য এন-টিআরসিএতে পাঠালে সেখান থেকে গত ১৯ নভেম্বর সনদটি ভুয়া বলে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন-৩) সাইফুল ইসলাম প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন।
একই সাথে তিনি বলেন, যেহেতু তিনি জাল সনদে চাকরি করেছেন এ ঘটনায় তার জেল জরিমানা সহ আরো অনেক কিছু হতে পারে। পরবর্তী পদক্ষে সরকারই করবেন। তার চাকরি যাওয়া ও শাস্তি এখন শুধু সময়ের ব্যাপার বলেও জানান তিনি।