বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের ঘোপ কবরস্থানের উন্নয়নমূলক কাজের নামে বটগাছ ও মেহগনি গাছ কাটা হয়েছে। একই সাথে একটি পুরাতন বটগাছ কাটার জন্য মোটা মোটা ডালছাটা হয়েছে। এতে করে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। কবরস্থানের পশ্চিম পাশে বট গাছসহ অন্যান্য গাছ কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। কবরস্থান মাদরাসার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য গাছ কাটা হবে। তবে এ বিষয় কিছু জানেন না বলে জানান মাদরাসার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, যশোর পৌরসভার উদ্যোগে ঘোপ কবরস্থানে ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণ করা হবে। এসব নির্মাণ কাজের মধ্যে ড্রেনের জন্য দক্ষিণ পাশের বড় মেহগনি গাছ, রাস্তা নির্মাণের জন্য পূর্বপাশের বড় বটগাছ কাটা হয়েছে একই কাজের জন্য পশ্চিম পাশের ২০ বছরের পুরাতন বটগাছের মোটামোটা ডাল ছাটা হয়েছে। এ গাছটি রাস্তা নির্মাণের জন্য কেটে ফেলা হবে। এতে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের বাসিন্দা আব্দুল হালিম জানান, কবরস্থানের ভেতর পশ্চিম পাশের বটগাছ আছে বলে মানুষ ছায়ায় দাঁড়িয়ে কবর দিতে পারছেন। এটা না থাকলে তো রোদে পুড়তে হতো। এজন্য গাছ না কেটে রাস্তা নির্মাণ করলে ভাল হয়।
তাসলিম বিশ^াস বলেন, গাছ রেখে একটু এগিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা যায়। তাতে গাছ কাটা লাগে না। কিন্তু রাস্তা নির্মাণ হবে।
৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোকসিমুল বারী অপু জানান, কোভিড-১৯ প্রজেক্টে যশোর পৌরসভায় ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে। এর মধ্যে কবরস্থানের উন্নয়নের জন্য ৭০ লাখ টাকার টেণ্ডার হয়েছে। এ টাকায় কবরস্থানের মধ্যে ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণ করা হবে। বটগাছ থাকলে রাস্তা নির্মাণ করা যাবে না। কাজ না হলে টাকা ফেরত চলে যাবে। বড় বটগাছ কেটে সেখানে টিন সেড বানিয়ে দেয়া বা ফুল গাছ লাগিয়ে দেয়া হবে। কবরস্থান মাদরাসার উন্নয়নে গাছ দেয়া হচ্ছে।
তবে এ গাছের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান মাদরাসার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, মাদরাসায় কিছু ডালপালা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে শহরের বেজপাড়া কবরস্থানের উন্নয়নের নামে সেখানকার অর্ধশতাধিক চোট বড় গাছ কাটা হয়।