বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের নিহত দুই শিক্ষার্থী স্মরণে শোকসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার কলেজের পুরাতন বিজ্ঞান ভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০১৫ সালে ২৩ নভেম্বর ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তের নির্মম নৃশংসতায় শাহদাৎ বরণ করেন দুই মেধাবী শিক্ষাথী হাবিবুল্লাহ ও কামরুল হাসান।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুকুল হায়দারের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির। তিনি বলেন, ‘যারা পালিয়েছে তাদের আবার আবির্ভাব দেখে যাবো বলে মনে হয় না। আবার নতুন করে যেন কেনো ফ্যাসিস্ট তৈরি না হতে পারে। সেটির পরিণতি যে কি হতে পারে তা বিলুপ্ত, বিন্যাস, আত্মবিনাশের সেই পর্যালোচনা। হাবিবুল্লাহ ও কামরুল তো দুজন, এরকম সহস্র সহস্র সন্তান আমরা হারিয়েছি। তার রাজনৈতিক পরিচয় বড় না, আমাদের পরিচয় আমরা এ দেশের সন্তান, যেকোনো সংগঠন করার অধিকার তার আছে। যেকোনো আদর্শ ধারণ করার অধিকার তার আছে। কিন্তু এই মতভেদের কারণে নির্যাতিত হতে হবে এটা যেন বন্ধ হয়। কারণ এর পরিণতি ভালো নয়। তার উদাহরণ ১০ বছর পূর্ণ হতে পারেনি। এই অনুষ্ঠানের দুটি উদ্দেশ্য আবরার, সাঈদ বা তার আগের ৯ বছর আগে আমাদের এই হাবিবুল্লাহ ও কামরুল হাসান এরা মারা যায়নি। প্রয়োজন হলে এরা শত শত শিক্ষার্থীর মাঝে আবার আসবে। দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হলো উপলব্ধি করা। যা আমাদের ১৫ বছরের ইতিহাস মুছে দেয়া। ১৫ বছরের মধ্যে ৯ বছর পরে এই তাদের মা বাবাকে স্মরণ করার ব্যর্থতা যা করতে না দেয়া।’
বিশেষ অতিথি ছিলেন এমএম কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর আখতার হোসেন, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এনামুল কবির, শহীদ হাবিবুল্লাহ হোসাইনের বাবা নিয়ামত আলী, শহীদ কামরুল হাসানের বাবা মোহাম্মাদ আলী। সঞ্চালনা করেন গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ আলম।
বক্তব্য রাখেন এমএম কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাসান ইমাম, সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহ, ইসলামী ছাত্র শিবির কলেজ শাখার সভাপতি খুবায়েব রহমান, সেক্রেটারি রাসেল ফারহান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হাকিম এবং ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আব্বাস উদ্দীন। শেষে শহীদের মা বাবার হাতে কোরআন শরিফ ও জায়নামাজ তুলে দেয়া হয়।