বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্রে অনুপস্থিত ছিলেন মোট ১ হাজার ৮০০ পরীক্ষার্থী। বহিস্কার হয়েছে একজন। এদিন মোট পরীক্ষার্থী ছিলো এক লাখ ৩৩ হাজার ৩৭৯ জন। এদের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১ হাজার ৮০০ পরীক্ষার্থী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন।
বোর্ড সূত্র জানা গেছে, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে খুলনা জেলাতে ২১২ জন, বাগেরহাট জেলায় ১২৫ জন, সাতক্ষীরা জেলাতে ১৮৮ জন, কুষ্টিয়া জেলাতে ২২৬ জন, চুয়াডাঙ্গা জেলাতে ১৩৩ জন, মেহেরপুর জেলায় ১১৪ জন, যশোর জেলায় ৩০৯ জন, নড়াইল জেলায় ১০৭ জন, ঝিনাইদহ জেলায় ২৭০ জন ও মাগুরা জেলাতে ১১৬ জন। গত বছর বাংলা প্রথম পত্রে অনুপস্থিত ছিলেন এক হাজার ১৩৩ জন।
এর আগে, সকাল ১০ টায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের ১০ জেলার ২৯৯টি কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার প্রথম দিন সকাল নয়টার মধ্যে স্ব স্ব পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে উপস্থিত হয় পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। সাড়ে নয়টায় কেন্দ্রের প্রবেশ পথ খুলে দেয়া হয়। দশটা বাজার সাথে সাথে সরবারহ করা হয় প্রশ্ন। এর আগে পৌনে দশটায় দেয়া হয় খাতা। শহর ও শহরতলির একাধিক কেন্দ্র পরিদর্শন করে সুশৃঙ্খল পরিবেশ চোখে পড়ে। যশোর জিলা স্কুল ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরিবেশ ছিল চোখে পড়ার মতো। মূল ফটকের মধ্যে একজন অভিভাবকও প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারেনি। পরীক্ষার্থীরা স্বচ্ছন্দে প্রবেশ করে যার যার মতো করে পরীক্ষা কক্ষ ও আসন খুঁজে নেয়। তবে এক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতার জন্য শিক্ষকরা প্রস্তুত ছিলেন। কেন্দ্রের আশপাশে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পরীক্ষাকে ঘিরে প্রশাসনের তৎপরতা, কেন্দ্রের নিরাপত্তা-শৃঙ্খলা মিলিয়ে এবারের পরিস্থিতি অনেকটা ভিন্ন বলে দাবি করছেন অভিভাবকরা। তারা আশা করছেন, এমন পরিবেশে সন্তানদের পরীক্ষা ভালো হবে। তবে কেন্দ্রে হঠাৎ করে ঘড়ি প্রবেশে বাধা দেওয়াতে বিড়ম্বনাতে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। বাধ্য হয়ে কেন্দ্রের প্রধান ফটকেই স্বজনদের কাছে পরীক্ষার্থীদের ঘড়ি খুলে দেওয়া লেগেছে।
যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষার প্রথমদিন অতিবাহিত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার খলিষকালী কেন্দ্রে নকল করার দায়ে এক শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। যশোরে বিভিন্ন কেন্দ্রে বোর্ড চেয়ারম্যান পরিদর্শন করেন। এছাড়া স্ব স্ব জেলার জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে জেলায় জেলায় উপ-সচিব পদমর্যাদায় কর্মকর্তাদের নিয়ে ১৩টি ভিজিলেন্স টিম গঠন করেছে বোর্ড। একই সাথে কেন্দ্র সচিবদের দেওয়া হয়েছে ১১টি জরুরি সতর্কতা নির্দেশনা। পরীক্ষাসংক্রান্ত সব ধরনের অনিয়ম রোধে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’