গোপাল ঘোষ
কাঁচাবাজারে পণ্যদ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বগতি থাকলেও বর্তমানে এসব পণ্যের দাম একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে। শীতের সবজি বাজারে পুরোপুরি আমদানি হওয়ায় ইতোমধ্যে সব ধরনের সবজির দাম খানিকটা কমে এসেছে। এদিকে বিগত দিনের তুলনায় সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে কম দামে। এছাড়া মাংস ও মসলার বাজারও নিম্নমুখি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহে বাজারে সবকিছুর দামই কমতির দিকে। শীতের সবজি বাজারে পুরোপুরি আসায় সকল ধরনের সবজিই আগের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের মাছের দামও কমতির দিকে। নতুন করে দাম বাড়েনি মাংসের দামও।
গতকাল যশোর শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, বেজপাড়া তালতলা বাজার, রেলস্টেশন বাজার ও বড় বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে বাজারের এমনই চিত্র জানা গেছে।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল ছুটির দিন সকাল থেকেই প্রতিটি দোকানে ছিল ক্রেতাদের ভিড়। শীতকালীন সকল ধরনের সবজি বাজারে ওঠায় ব্যাগ ভরে কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।
কাঁচাবাজারে প্রকারভেদে শিম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বেগুন, করলা, পটল, ধুন্দল ও কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ আকারভেদে প্রতি পিস পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা । লালশাক ও পালংশাক প্রতি আটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
তাতলা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী ইসলাম বলেন, ছুটির দিনে বাজারে ক্রেতা বেশি থাকে। এ সময় দাম একটু বাড়তি থাকে। সে তুলনায় আজ সকল ধরনের সবজি আগের চেয়ে কম দামেই বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে সবজির দাম কমায় আমরাও কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে পারছি।
বাজার করতে আসা ক্রেতা আবুল কাশেম বলেন, এখন সবজি খাওয়ার সময়। তাই ব্যাগ ভরে সবজি নিলাম। শীতের সময়ে সতেজ সবজি পাওয়া যায়। স্বাদও আলাদা। এসময় তিনি বলেন, সবজির দাম আগের চেয়ে বেশ কম। তবে আরও কম হওয়া উচিত।
এদিকে মাছের দাম কিছুটা কমে আসছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি রুই মাছ সব সাইজের ২২০ থেকে সর্বোচ্চ ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিংড়ি মাছ আকারভেদে ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা। এছাড়া তেলাপিয়া ও কই ২২০ থেকে ২৫০ এবং পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। ইলিশ এক কেজি সাইজের ওপরে কেজি ২০০০ টাকা এবং ছোট সাইজের ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের দোকানে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, সোনালী ৩২০ টাকা, গরুর মাংস ৬২০-৬৫০ টাকা, খাসি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১১০০ টাকা করে।
মাছের আড়ত ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, সব ধরনের মাছের দাম কমই আছে। মাছের বাজার বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে।
এদিকে পেঁয়াজের ঝাঁজও বাজারে কমতে শুরুছে। নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে, এসব এলাকার কোথাও কোথাও অলিতে-গলিতে ভ্যানে দেশি পেয়াঁজ আরও কম দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। রসুন মান ভেদে ২৪০ থেকে ২৬০, ডাল ১২০ থেকে ১৪০, আটা ৬০ টাকা ও চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ টাকা ধরে।
শিরোনাম:
- গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জেকে বসেছে শীত
- পুনশ্চ’র ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
- শীতে বাড়ছে রোগীর চাপ নাজুক চিকিৎসা সেবা
- মাগুরায় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
- যশোরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষায় সভা
- সাজা শেষে দেশে ফিরলেন ২ ভারতীয়
- শালিখার চিকিৎসা নিতে আসা অজ্ঞাত বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার
- বিশ্ব ইজতেমায় হামলার প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ