রাজগঞ্জ প্রতিনিধি
মণিরামপুর উপজেলা পশ্চিমের তিন ইউনিয়ন ঝাঁপা, মশ্বিমনগর, চালুয়াহাটি কাঁঠালের গ্রাম হিসেবে পরিচিত। আর কয়েকদিন পরই মধুমাস জৈষ্ঠ। এরই মাঝে এ এলাকার গাছে গাছে কঁঠালের সমারোহ সবুজের নতুন রং ধারণ করেচে প্রকৃতি।
আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রায় প্রতিটি অংশ খাবার যোগ্য। কাঁঠালের কোনো অনুমোদিত জাত নেই। তবে তিন ধরনের কাঁঠাল চাষ হয়-খাজা, আদারসা ও রসালো।
কৃষি বিজ্ঞানীরা কাঁঠালকে মাল্টিপারপাস উদ্ভিদ বলে থাকেন। কারণ ফল হিসেবে পাকা অবস্থায়, সবজি তরকারি হিসেবে কাঁচা অবস্থায় কাঁঠাল খুব সু-স্বাদু খাবার। এছাড়া এ ফলটির অবশিষ্ঠাংশ পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া গ্রামের ছোট ছোট মেয়েরা কচি কাঁঠালের মুচি অপুক্ত কাঁঠাল খোঁসা ছাড়িয়ে কুচি কুচি করে কেটে তেঁতুল দিয়ে ভর্তা করে খায়।
কেশবপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আনারুল ইসলাম (টুকু) বলেন, কাঁঠালে প্রচুর শর্করা ও ক্যালশিয়াম আছে। কাঁঠালের বীচিও আমাদের খাবারের অন্তর্ভুক্ত। আপেল, কমলার চাইতে কাঁঠালের খাদ্যমান অনেক বেশি।
নেংগুড়াহাট বাজারের চিকিৎসক আ. সামাদের বলেন, পাকা কাঁঠালে প্রচুর আঁশ রয়েছে। ফলে পাকা কাঁঠাল খেলে কোষ্টকাঠিন্য হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারেন। কাঁঠালের পাতা। পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়,পাতা ছাগলের প্রিয় খাবার আর মোথা গরুর,ছাগলের প্রাধান খাদ্য। কাঁঠাল কাঠ দিয়ে নানা ধরনের ফার্ণিচার তৈরি করা হয়। যেমন খাট, ওয়্যারড্রব, আলনা, সোফা, ঘরের দরজা ইত্যাদি।