বাংলার ভোর প্রতিবেদক

যশোরে সিরাজুল ইসলাম কুটি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত যুবমহিলা লীগ নেত্রী মাসুরা বেগম হাসির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। বুধবার প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের ভাই মফিজুল ইসলাম ইমন।

সংবাদ সম্মেলনে ইমন জানান, তার ভাই সিরাজুল ইসলাম কুটির ছেলে মেহেদী হাসানকে বিদেশে পাঠানোর জন্য হাসির সঙ্গে ১৫ লাখ টাকার চুক্তি হয়। গত বছরের ৭ জুলাই হাসিকে নগদ ১২ লাখ টাকা দেয়া হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ না হওয়ায় মতবিরোধ দেখা দেয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ২৯ মার্চ তারিখে অবশিষ্ট ৩ লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দিতে সিরাজুল ইসলাম কুটি ও মফিজুল ইসলাম ইমন হাসির বাহাদুরপুরের বাড়িতে যান।

টাকা দেয়ার পর তার ভাই সিরাজুল ইসলাম কুটি দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার কথা বললে হাসি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পূর্বপরিকল্পিতভাবে হাসির নির্দেশে মনিকা খাতুন সিরাজুল ইসলাম কুটির অন্ডকোষ চেপে ধরে এবং হাসি চাকু দিয়ে তার দু’চোখে আঘাত করেন।

অন্যান্য আসামিরা শাবল ও লোহার রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। ইমন বাধা দিতে গেলে রেজাউল ইসলাম রেজা ও মনিরুল ইসলাম তাকে মারধর করে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে এই তাণ্ডব চলে বলে তিনি জানান।

স্থানীয়দের সহায়তায় সিরাজুল ইসলাম কুটি ও ইমনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিরাজুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

ইমন আরও জানান, এই ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তবে মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাকে ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। মাসুরা বেগম হাসির ফাঁসি ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিরাজুল ইসলাম কুটির পরিবারের একাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

Share.
Exit mobile version