বাংলার ভোর প্রতিবেদক
‘উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়ে আওয়ামী লীগ কৃষকদের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছিল। কিন্তু তারা কৃষকের কথা মনে রাখেনি। গায়ে গতরে খেটে কৃষকের ভাগ্য উন্নয়ন হয়নি। মোটাতাজা হয়েছে শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। উৎপাদিত ধান, পাট, সবজির নায্য দাম পায়নি। ২০ টাকার সার ৩০ টাকায় বিক্রি করেছে। সার পেট্টোলের দাম বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ করেছে। কৃষকের ভোটে এমপি মন্ত্রী হয়ে নেতারা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের বাড়িতে ঘুমোতে দেয়নি। পাকা ধান না কেটে পুলিশের ভয়ে বাগানে বাগানে রাত কাটিয়েছি।’ কথাগুলো বলছিলেন যশোর সদর উপজেলা চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের কৃষক মহাসিন আলম।
মঙ্গলবার বিকালে যশোর সদরের চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সর্দার বাগডাঙ্গা মাঠে সমাবেশে যোগ দেন মহাসিন আলমের মত হাজারো কৃষক। চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন কৃষক দল আয়োজিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সমাবেশকে ঘিরে সমাবেশ স্থলে ঢল নামে হাজারো কৃষক কৃষাণী জনতার। কেউ গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে সুসজ্জিত গরুর গাড়ি চড়ে, কেউবা জমির আইল বেয়ে লাঙল, জোয়াল, মাথাল, কাঁচি নিয়ে যোগ দেন সমাবেশে।
সমাবেশে বেশ কয়েকজন কৃষকের অনুভূতি ও প্রস্তবনা শুনে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি বিএনপির বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য গত ১৭ বছর অপেক্ষা করেছি আমরা। সেই রাষ্ট্র এখনও আমরা পাইনি। এই সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করে তারা নির্বাচন দেবে। নির্বাচন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবার কোন সুযোগ নেই। জনগণের বাংলাদেশ জনগণের হাতে তুলে দেয়ার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার পুণ:প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী নেতা-কর্মী ও গুণ্ডাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলে তাদের জায়গা বিএনপিতে হবে না।
তিনি বলেন, ‘দেশে একমাত্র সরকারই হলো বিএনপি, যারা কৃষকদের নিয়ে ভাবে। কৃষকদের তাদের উৎপাদিত পণ্য ন্যায্য দামের অভাবে ফেলে দেয়া লাগবে না! বিএনপি ক্ষমতায় এলে জাতীয় বাজেটের ৮ শতাংশ কৃষি খাতে বরাদ্দ দেয়া হবে। এটা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে পরিকল্পনা। বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষকের উন্নয়নে নানা পরিকল্পনা নেয়া হবে; যাতে সারা বছরই কৃষকদের মুখে হাসি থাকে। ফসলের নায্যমূল্য বিক্রয়ের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র খোলা হবে। কৃষকের পাকা ধান ফেলে পালিয়ে বেড়াতে হবে না।
চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষক দলে আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন, সদস্য সচিব সিকদার সালাউদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সদস্য গোলাম রেজা দুলু, মিজানুর রহমান খান, সদর উপজেলা সাধারণ আঞ্জারুল হক খোকন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক খোকন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।
শিরোনাম:
- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের যশোরের সদস্য সচিব জেসিনার পদ স্থগিত
- ‘কৃষকের ভাগ্য উন্নয়ন হয়নি, আ.লীগ নেতারা মোটাতাজা হয়েছে ’
- ফল আমদানি বন্ধের প্রভাব যশোরের খোলা বাজারে
- মাগুরায় বিপুল পরিমাণ নকল কীটনাশক উদ্ধার
- চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের সাতক্ষীরা আগমন উপলক্ষে মতবিনিময়
- মণিরামপুরে স্কুলের শহিদ মিনার ভেঙে ওয়াশব্লক নির্মাণ !
- কেশবপুরে সাংবাদিক আব্দুস সামাদের ইন্তেকাল
- ডুমুরিয়ায় স্মার্ট কৃষি মেলা উদ্বোধন