কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর বাজারে লোহার ফ্রেম দিয়ে টিনশেড ঘর করে রাতারাতি জায়গা দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কালিগঞ্জ থানা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দখল বন্ধ হলেও লোহার ফ্রেমযুক্ত টিনশেডটির হদিস পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১০ মে) দিবাগত রাত ১ টার দিকে। কৃষ্ণনগর বাজারের চাল বাজারে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ী শাজাহান কবির শানু জানান ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজনের পাহারায় রাত একটার দিকে বাজারে ৪০ থেকে ৫০ জন লোক, চালের এবং মাংসের বাজারের টিনশেড ভেংগে দিয়ে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সিমেন্ট, বালু, রড নিয়ে কাজ করছিল। বিষয়টি দেখে আমি স্থানীয় বেশ কয়েক জনকে ফোন দেই এবং ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশকে অবহিত করি পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয় এবং নির্মাণ সামগ্রি প্যানেল চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের জিম্মায় রেখে যায়।
সরজমিনে ব্যবসায়ী আসফারুক, রওশান কাগুজিসহ একাধিক ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সরকারি পেরিপেরিবুক্ত ওই জায়গাটি চাল বাজার হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ঘটনার দিন রাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানে লোক হিসেবে পরিচিত নূর ইসলাম খোকা, নূরুল ইসলাম গাজী, শাহিন ওরফে লাড্ডু শাহিন, সিরাজুল ইসলামসহ প্রায় ৪০-৫০ জনের একটি দল টিনশেড ভেংগে দিয়ে সেখানে ভবন নির্মাণের জন্য লোহার রড, ইট, খোয়া এবং সিমেন্ট নিয়ে আসে তবে পুলিশি হস্তক্ষেপে নির্মাণ কাজ বন্দ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে নূরুল ইসলাম গাজির সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি শাহিন ও নুরুল ইসলাম সরদারের নামে যায়গাটি ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত নিয়েছি। অপর এক প্রশ্নে বলেন, দিনে লোকজনের ভিড় থাকায় রাতে কাজ করছিলাম আগামীতে আমরা দিনের আলোতেই কাজ করব।
তবে বন্দোবস্তের বিষয়ে জয়পত্রকাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিএম নুরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন দখলে তার সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেন।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিন দখলের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে চাউল এবং মাংস ব্যবসায়ী সহ বাজার দোকানদার ও সচেতন মহলের মধ্য চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সরকারি সম্পদ ও সম্পর্তি উদ্ধার এবং জায়গাটি চাল ও মাংসের হাট হিসেবে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন।