রনি হোসেন, (পাঁজিয়া) কেশবপুর,
কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন পথে-প্রান্তর ও স্থানীয়দের বসত বাড়ির আঙ্গিণায় শোভা পাচ্ছে রক্তলাল ফুল সমৃদ্ধ অসংখ্য কৃষ্ণচূড়া গাছ। এ যেন এক অপরুপ মনমুগ্ধকর ভালবাসার অনুভুতির ছোঁয়া। আর এসব কৃষ্ণচূড়া ফুলের নিজস্ব সৌন্দর্য উপভোগ করছেন ফুলপ্রিয় পথিক। প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়েছে কৃষ্ণচূড়ার জৌলুস।
প্রদর্শনকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ও পথে প্রান্তরে কৃষ্ণচূড়ার গাছে থোকায় থোকায় ফুল ফুঁটেছে। সবুজের বুকে শুধুই লালের রাজত্ব। দূর থেকে মনে হয় ময়ূর তার রাঙা পেখম মেলে ধরেছে প্রকৃতির মাঝে।
লক্ষ্য করা গেছে, উপজেলা পৌর শহরের মেইন রোডে, বিভিন্ন গলিতে, উপজেলা ভূমি অফিসের পাশে, পাঁজিয়া সড়কে, কেশবপুর সরকারি পাইলট স্কুল গেটে, কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ গেটে, সাতবাড়ীয়া সড়ক, সাগরদাঁড়ি সড়ক, পাঁজিয়া সার্বজনীন কালী মন্দিরে, সুফলাকাটি পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গেট মুখে-সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারে রয়েছে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহ।
ভোরের নরম আলো, তপ্ত দুপুর কিংবা সন্ধ্যা নামার আগেও কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন উপজেলাবাসী। গ্রীষ্মের রুক্ষতা ছাড়িয়ে কৃষ্ণচূড়া ফুল নিজের সৌন্দর্য তুলে ধরছে। গাছের ডালপালা জুড়ে শুধুই কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহ। এই ফুলের অপরুপ দৃশ্য যে কারও চোখে ও মনে এনে দিতে পারে শিল্পের দ্যোতনা।
ফুল প্রেমিক হারুন বলেন, একসময় কৃষ্ণচূড়া গাছ প্রকৃতিতে অনেক বেশি থাকলেও ধীরে ধীরে তা কমে আসছে। কৃষ্ণচূড়া গাছের কাঠ তেমন গুরুত্ব বহন না করায় এবং গাছটি খুব ধীর গতিতে বেড়ে উঠায় এই গাছ রোপণে আগ্রহ নেই কারও। তবে এটি আমাদের প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়া ফুল প্রকৃতি আমাদের উপহারস্বরূপ দিয়েছে। তবে প্রকৃতিকে সাজাতে আমাদেরও সবার এগিয়ে আসা উচিত।
ফুলপ্রিয় পথিক রায়হান বলেন, কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর লাগে। তিনি আরো বলেন মাঝে মাঝে আমার মনে হয় মেইন সড়কের পাশে এই কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছ লাগায়, যেটা দেখে সৌন্দর্য উপভোগ করবে পথচারীরা।
ছবি- লাল ফুলে ছেয়ে যাওয়া কৃষ্ণচূড়াগাছ, চোখ জুড়িয়ে যায়। কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেট থেকে তোলা ছবি।
ছবি- ডালে ডালে গুচ্ছ গুচ্ছ কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটেছে।