কেশবপুর পৌর সংবাদদাতা
যশোরের কেশবপুরে ছেলের বিরুদ্ধে সম্মেলন করেছেন এক মা। শনিবার সন্ধ্যায় কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মায়ের উপস্থিতিতে তার পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাহিনুর আলম শাহীন।
লিখিত বক্তব্যে শাহিনুর রহমান শাহীন বলেন, মঞ্জুর আলম পলাশ সম্প্রতি উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কাকরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। কারণ আমরা আমিনুর রহমানের কাছে সাতটি গাছ বিক্রয় করি, যার মূল্য ৫৫ হাজার টাকা। ওই গাছ কাটার করার সময় আমরা উপস্থিত ছিলাম, সেখানে কোন প্রকার অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি। পলাশের চিরাচরিত স্বভাব এরকমই। সে বিভিন্ন সময় আমাদের পরিবারের সবার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে থাকে। স্বামীর মৃত্যুর আগে থেকেই আমরা মঞ্জুর আলম পলাশ থেকে আলাদা থাকি। জীবিত অবস্থায় আবুল হোসেন সম্পত্তি ভাগ বন্টনের জন্য বন্টননামা রেজিস্ট্রি করার জন্য দলিল লেখক শেখ ইমারত হোসেনের কাছে দেয়। কিন্তু মঞ্জুর আলম পলাশ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে এসে সেই বন্টননামা রেজিস্ট্রি করতে দেয়নি এবং সম্পত্তি ভাগাভাগি যাতে না হয় সে জন্য বিভিন্ন সময় মঞ্জুর আলম পলাশ আমাদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আবুল হোসেনের মৃত্যুর পর জমি বন্টন নিয়ে পারিবারিকভাবে বিভিন্ন সময় এলাকার চেয়ারম্যানের ও থানায় বসাবসি হলেও কোন সমাধান হয়নি। কিছুদিন আগে মঞ্জুর আলম পলাশ জমাজমির বিষয়ে জিয়াউল আলম উজ্জলকে মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। বাজারের ঘরগুলো সে নিজেই ভাড়া দিয়ে ডিড করে দিয়ে টাকাগুলি একাই ভোগ করে। মাঠের জমিগুলো একাধিকবার বন্ধক রেখেছে। বিভিন্ন সময় তার ধার দেনা আমরা জমি বিক্রি করে পরিশোধ করেছি। বর্তমানে কোন আপোস বন্টননামা না করেই সে নিজ ইচ্ছামত শরিকানা জমির পজিশনগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে।
আর থানায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, মঞ্জুর আলম পলাশ নিজেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত দাবি করলেও সে আদতে সুবিধাবাদি। সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জুর আলম পলাশকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রোকেয়া বেগম, রেহেনা পারভিন, উজ্জ্বল, শিরিনা পারভীন তুলি, রোকসানা পারভীন প্রমুখ।